ইয়েমেনে ক্ষেপণাস্ত্র হানা। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকা এবং ব্রিটেন যৌথ ভাবে পশ্চিম এশিয়ায় অভিযান চালিয়েছে। ইরান-ঘনিষ্ঠ ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের অন্তত ৩৬টি ঘাঁটিতে শনিবার উড়ে এসেছে আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র। হুথিদের গোপন ডেরা চিহ্নিত করে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা এবং ব্রিটেন। গত কয়েক দিন ধরে লোহিত সাগর সংলগ্ন এলাকায় হুথিরা জলপথে যে আক্রমণ চালিয়ে আসছিল, তারই জবাবে এই পাল্টা হামলা।
আমেরিকা এবং ব্রিটেন যৌথ ভাবে একটি বিবৃতি দিয়ে হুথি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণের কথা জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ইয়েমেনের ১৩টি এলাকায় ৩৬টি হুথি ঘাঁটিতে আমরা হামলা চালিয়েছি। লোহিত সাগরীয় এলাকায় আন্তর্জাতিক এবং বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের অনবরত হামলার জবাবে এটা আমাদের প্রত্যাঘাত।’’
হুথিদের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরও ছ’টি বন্ধু দেশকে পাশে পেয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন। হামলায় তাদের সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, কানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নিউ জ়িল্যান্ড। ইয়েমেনের মাটিতে যে সমস্ত গোপন ডেরায় হুথিরা তাদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে, সেখানে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি আমেরিকা, ব্রিটেনের। তাদের যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বিশ্ব বাণিজ্যকে ব্যাহত করা, নিষ্পাপ প্রাণ হত্যা করার যে যজ্ঞ হুথিরা শুরু করেছে, তা ছন্নছাড়া করতেই এই হামলা।’’ এর আগে শনিবারই লোহিত সাগরের জাহাজে হামলা চালাতে হুথিদের তাক করে রাখা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছিল আমেরিকা। গুলি করে নামানো হয়েছিল আটটি ড্রোনও।
কিছু দিন আগে জর্ডনে সিরিয়া সীমান্তের কাছে আমেরিকান বাহিনীর ওপর ড্রোন হামলা চালানো হয়। আমেরিকার দাবি, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইরান। ওই হামলায় আমেরিকার তিন জন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হামলার পরেই আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তার পর দেখা যায়, শুক্রবার ইরাক এবং সিরিয়ায়, ইরানের বাহিনী এবং তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনীর উপর যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে ওয়াশিটন। তাতে সিরিয়ায় ১৮ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে পেন্টাগন সূত্রে খবর। যদিও ইরানের মাটিতে সরাসরি হামলা চালায়নি আমেরিকা। তার এক দিন পরেই আমেরিকা এবং ব্রিটেনের যৌথ প্রচেষ্টায় হুথিদের ঘাঁটিতে আছড়ে পর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র।
পশ্চিম এশিয়ায় ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ইরান এবং তাদের সমর্থিত একাধিক গোষ্ঠী। নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরের জাহাজে হামলা চালাতে শুরু করেছে হুথিরা। তারা শুরু থেকেই হামাসের পক্ষ নিয়েছিল। হুথিদের বক্তব্য, সাগরে ইজ়রায়েলের জাহাজে হামলা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। শনিবার তার জবাব দিল পশ্চিমের দুই শক্তিশালী দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy