Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Area 51

ভিনগ্রহীদের আস্তানা, না আমেরিকার গোপন সামরিক ঘাঁটি! কী রয়েছে 'এরিয়া ৫১'-এ

এলিয়ান বা ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে আগ্রহ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অন্য গ্রহে আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, থাকলেও কী রকম দেখতে তাদের— কিছু নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে অনেক। এলিয়ান নিয়ে সিনেমাও হয়েছে অনেক। ফিল্মে বারবার পৃথিবীর বুকে নেমেছে তারা। অনেকে বলেন, এখনও পৃথিবীর বুকে রয়েছে ভিনগ্রহীরা। কোথায় রয়েছে? অনেকেরই দাবি, সেই জায়গা ‘এরিয়া ৫১’।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ১৪:৪১
Share: Save:
০১ ১৪
এলিয়ান বা ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে আগ্রহ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অন্য গ্রহে আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, থাকলেও কী রকম দেখতে তাদের— কিছু নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে অনেক। এলিয়ান নিয়ে সিনেমাও হয়েছে অনেক। ফিল্মে বারবার পৃথিবীর বুকে নেমেছে তারা। অনেকে বলেন, এখনও পৃথিবীর বুকে রয়েছে ভিনগ্রহীরা। কোথায় রয়েছে? অনেকেরই দাবি, সেই জায়গা ‘এরিয়া ৫১’।

এলিয়ান বা ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে আগ্রহ নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। অন্য গ্রহে আদৌ প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, থাকলেও কী রকম দেখতে তাদের— কিছু নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে অনেক। এলিয়ান নিয়ে সিনেমাও হয়েছে অনেক। ফিল্মে বারবার পৃথিবীর বুকে নেমেছে তারা। অনেকে বলেন, এখনও পৃথিবীর বুকে রয়েছে ভিনগ্রহীরা। কোথায় রয়েছে? অনেকেরই দাবি, সেই জায়গা ‘এরিয়া ৫১’।

০২ ১৪
এই বছরের জুলাই মাসেই ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করা হয়, যেখানে আহ্বান জানানো হয় এরিয়া ৫১-এ আসার জন্য। আশ্চর্যজনক ভাবে লক্ষাধিক মানুষ রাজিও হন ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৩টে তে এরিয়া ৫১-এর গেটে দেখা করার। উঠে আসে আরও একবার এরিয়া ৫১-এর রহস্য।

এই বছরের জুলাই মাসেই ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করা হয়, যেখানে আহ্বান জানানো হয় এরিয়া ৫১-এ আসার জন্য। আশ্চর্যজনক ভাবে লক্ষাধিক মানুষ রাজিও হন ২০ সেপ্টেম্বর রাত ৩টে তে এরিয়া ৫১-এর গেটে দেখা করার। উঠে আসে আরও একবার এরিয়া ৫১-এর রহস্য।

০৩ ১৪
এরিয়া ৫১ হল পশ্চিম আমেরিকার নেভাদা মরুভূমির একটি অংশ। লাস ভেগাস থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গার বিশেষত্ব হল, এখানকার ভিনগ্রহের প্রাণের অস্তিত্বের কাহিনি। কাহিনিগুলি কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যে তা জানা না গেলেও আমেরিকার সেনাবাহিনী যে সব সময় এই জায়গাটিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চায়, তা স্পষ্ট হয়েছে বহু বার।

এরিয়া ৫১ হল পশ্চিম আমেরিকার নেভাদা মরুভূমির একটি অংশ। লাস ভেগাস থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গার বিশেষত্ব হল, এখানকার ভিনগ্রহের প্রাণের অস্তিত্বের কাহিনি। কাহিনিগুলি কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যে তা জানা না গেলেও আমেরিকার সেনাবাহিনী যে সব সময় এই জায়গাটিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চায়, তা স্পষ্ট হয়েছে বহু বার।

০৪ ১৪
এরিয়া ৫১ নিয়ে প্রথম জল্পনা শুরু হয় ১৯৪৭ সালে রোসোয়েল বিমান দুর্ঘটনার পর। শোনা যায় এই প্লেনের চালক ছিল ভীনগ্রহীরা। অনেকের মতে আবার, সে দিন প্লেন নয়, উড়েছিল স্পেসশিপ। ভিতরে ছিল নাজিদের গবেষণাগারে তৈরি অদ্ভুত চেহারার ‘মানুষের মতো’ এক প্রাণী।

এরিয়া ৫১ নিয়ে প্রথম জল্পনা শুরু হয় ১৯৪৭ সালে রোসোয়েল বিমান দুর্ঘটনার পর। শোনা যায় এই প্লেনের চালক ছিল ভীনগ্রহীরা। অনেকের মতে আবার, সে দিন প্লেন নয়, উড়েছিল স্পেসশিপ। ভিতরে ছিল নাজিদের গবেষণাগারে তৈরি অদ্ভুত চেহারার ‘মানুষের মতো’ এক প্রাণী।

০৫ ১৪
আমেরিকার প্রথম চাঁদে পা রাখা নিয়ে বিতর্কের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই। ১৯৬৯ সালে চাঁদে নীল আমস্ট্রং-এর পা রাখার ছবি নাকি এই এরিয়া ৫১-এই তোলা হয়েছিল এবং আমেরিকা মিথ্যা চাঁদে পৌছানোর দাবি করে- এমন অভিযোগও উঠেছে বহু বার।

আমেরিকার প্রথম চাঁদে পা রাখা নিয়ে বিতর্কের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই। ১৯৬৯ সালে চাঁদে নীল আমস্ট্রং-এর পা রাখার ছবি নাকি এই এরিয়া ৫১-এই তোলা হয়েছিল এবং আমেরিকা মিথ্যা চাঁদে পৌছানোর দাবি করে- এমন অভিযোগও উঠেছে বহু বার।

০৬ ১৪
এলিয়ান বা চাঁদে পৌছানোর মিথ্যা দাবি, কোনও যুক্তির পক্ষেই সঠিক তথ্য প্রমাণ না মিললেও এরিয়া ৫১ যে এখনও সক্রিয়, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমেরিকা প্রথমে এই জায়গা সম্পর্কে কিছু বলতে না চাইলেও তথ্য স্বাধীনতার অধিকার আইন অনুযায়ী বেশ কিছু তথ্য জানাতে বাধ্য হয়।

এলিয়ান বা চাঁদে পৌছানোর মিথ্যা দাবি, কোনও যুক্তির পক্ষেই সঠিক তথ্য প্রমাণ না মিললেও এরিয়া ৫১ যে এখনও সক্রিয়, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমেরিকা প্রথমে এই জায়গা সম্পর্কে কিছু বলতে না চাইলেও তথ্য স্বাধীনতার অধিকার আইন অনুযায়ী বেশ কিছু তথ্য জানাতে বাধ্য হয়।

০৭ ১৪
সরকারের তরফে জানানো হয়, গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি) ১৯৫৫ সালে যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষার জন্য প্রথম এই জায়গায় ঘাঁটি তৈরি করে। প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয় 'অ্যাকোয়াটোন'। 'লকহিড ইউ-২' নামক এক ইঞ্জিন যুক্ত যুদ্ধ বিমান যা অনেক বেশী উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানা যাবে ককপিটে বসেই।

সরকারের তরফে জানানো হয়, গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি) ১৯৫৫ সালে যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষার জন্য প্রথম এই জায়গায় ঘাঁটি তৈরি করে। প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয় 'অ্যাকোয়াটোন'। 'লকহিড ইউ-২' নামক এক ইঞ্জিন যুক্ত যুদ্ধ বিমান যা অনেক বেশী উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানা যাবে ককপিটে বসেই।

০৮ ১৪
ড্রাগন লেডি নামেও পরিচিত ওই বিমানের পরীক্ষামূলক ঊড়ানকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার আদর্শ স্থান হয়ে ওঠে এই 'এরিয়া ৫১'। এখানেই পাইলট ট্রেনিং দেওয়া হত ও বিমান ওঠানামা করতো বলে জানানো হয়।

ড্রাগন লেডি নামেও পরিচিত ওই বিমানের পরীক্ষামূলক ঊড়ানকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার আদর্শ স্থান হয়ে ওঠে এই 'এরিয়া ৫১'। এখানেই পাইলট ট্রেনিং দেওয়া হত ও বিমান ওঠানামা করতো বলে জানানো হয়।

০৯ ১৪
নেভাদার গ্রুম লেক কিন্তু কোনও হ্রদ নয়। এটি আসলে মরুভুমির মাঝে এক সমতল ভূমি, যেখানে প্রচুর পরিমাণে নুন ও অন্যান্য খনিজ পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ সমতল হওয়ায় এরিয়া ৫১-এর গ্রুম লেককেই বিমানের রানওয়ে হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। তৈরি হয় ওয়ার্কশপ, বিমানের শেল্টারও। তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় বাঁধানো রানওয়ে, কন্ট্রোল টাওয়ার।

নেভাদার গ্রুম লেক কিন্তু কোনও হ্রদ নয়। এটি আসলে মরুভুমির মাঝে এক সমতল ভূমি, যেখানে প্রচুর পরিমাণে নুন ও অন্যান্য খনিজ পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ সমতল হওয়ায় এরিয়া ৫১-এর গ্রুম লেককেই বিমানের রানওয়ে হিসাবে ব্যবহার করা শুরু হয়। তৈরি হয় ওয়ার্কশপ, বিমানের শেল্টারও। তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় বাঁধানো রানওয়ে, কন্ট্রোল টাওয়ার।

১০ ১৪
১৯৫৫ সালে যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউএফও বা স্পেসশিপ দেখতে পাওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠতে থাকে। একাধিক বাণিজ্যিক বিমানের চালক দাবি করেছেন, এত উচ্চতায় কোনও বিমানের ওড়া অসম্ভব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার মতো ক্ষমতা সেই সময়ের কোনও যুদ্ধবিমানেরও ছিল না বলেও দাবি করেন অনেকে।

১৯৫৫ সালে যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউএফও বা স্পেসশিপ দেখতে পাওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠতে থাকে। একাধিক বাণিজ্যিক বিমানের চালক দাবি করেছেন, এত উচ্চতায় কোনও বিমানের ওড়া অসম্ভব। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার মতো ক্ষমতা সেই সময়ের কোনও যুদ্ধবিমানেরও ছিল না বলেও দাবি করেন অনেকে।

১১ ১৪
বিমানের এত উচ্চতায় ওড়ার ঘটনা আবারও ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের যুক্তি জোরালো করে। মার্কিন সেনাবাহিনী আজও এই বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি। তবে ভিনগ্রহীদের উপস্থিতিকে তারা গুজব বলেই দাবি করেছে চির কাল।

বিমানের এত উচ্চতায় ওড়ার ঘটনা আবারও ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের যুক্তি জোরালো করে। মার্কিন সেনাবাহিনী আজও এই বিষয়ে কোনও তথ্য জানায়নি। তবে ভিনগ্রহীদের উপস্থিতিকে তারা গুজব বলেই দাবি করেছে চির কাল।

১২ ১৪
১৯৫০ সালের শেষ ভাগেই 'ইউ-২’ প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে গেলেও এরিয়া৫১-কে কিন্তু কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে আজও। নির্দিষ্ট একটি সীমা অবধিই সাধারণ মানুষ যেতে পারেন। কাঁটাতারের ওই পাড়ে কী রয়েছে তা অগোচরেই থেকে গিয়েছে আজও।

১৯৫০ সালের শেষ ভাগেই 'ইউ-২’ প্রোজেক্ট বন্ধ হয়ে গেলেও এরিয়া৫১-কে কিন্তু কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে আজও। নির্দিষ্ট একটি সীমা অবধিই সাধারণ মানুষ যেতে পারেন। কাঁটাতারের ওই পাড়ে কী রয়েছে তা অগোচরেই থেকে গিয়েছে আজও।

১৩ ১৪
‘বার্ড অব প্রে’, ‘এফ-১১৭এ’, ‘ট্যাসিট ব্লু’ নামক যুদ্ধবিমানগুলি তৈরি ও পরীক্ষা করা হয়েছে এই এরিয়া ৫১-এই। ১৯৭০ সালে 'হ্যাভ ডোনাট' নামে এক গোপন নথি সামনে আসে। সেখান থেকে জানা যায়, একটি সোভিয়েত মিগ বিমানকে নিয়ে নানা পরীক্ষাও চালানো হয় এরিয়া ৫১-এই।

‘বার্ড অব প্রে’, ‘এফ-১১৭এ’, ‘ট্যাসিট ব্লু’ নামক যুদ্ধবিমানগুলি তৈরি ও পরীক্ষা করা হয়েছে এই এরিয়া ৫১-এই। ১৯৭০ সালে 'হ্যাভ ডোনাট' নামে এক গোপন নথি সামনে আসে। সেখান থেকে জানা যায়, একটি সোভিয়েত মিগ বিমানকে নিয়ে নানা পরীক্ষাও চালানো হয় এরিয়া ৫১-এই।

১৪ ১৪
দিন কয়েক আগে ফেসবুকে এরিয়া ৫১ যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে একেবারেই মজাচ্ছলে একটি পেজ তৈরি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উৎসাহ থাকলেও আমেরিকার সেনা বাহিনীর মুখপাত্র লরা ম্যাকঅ্যান্ড্রুজ কিন্তু বেশ কঠিন স্বরেই জানিয়েছেন, লক্ষাধিক মানুষও যদি এরিয়া ৫১- এ প্রবেশ করার জন্য গেটে উপস্থিত হয়, তা হলেও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেই পেজটিও এখন ক্লোজড গ্রুপ করে দেওয়া হয়েছে।

দিন কয়েক আগে ফেসবুকে এরিয়া ৫১ যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে একেবারেই মজাচ্ছলে একটি পেজ তৈরি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উৎসাহ থাকলেও আমেরিকার সেনা বাহিনীর মুখপাত্র লরা ম্যাকঅ্যান্ড্রুজ কিন্তু বেশ কঠিন স্বরেই জানিয়েছেন, লক্ষাধিক মানুষও যদি এরিয়া ৫১- এ প্রবেশ করার জন্য গেটে উপস্থিত হয়, তা হলেও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেই পেজটিও এখন ক্লোজড গ্রুপ করে দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy