মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী মহম্মদ মুইজ়ু। ছবি: সংগৃহীত।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েই নাম না করে ভারতকে নিশানা করলেন মহম্মদ মুইজ়ু। ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত এই নেতা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমাদের দেশের মাটি থেকে সমস্ত বিদেশি সেনাকে আমারা ফেরত পাঠাব।’’ এ ক্ষেত্রে মুইজ়ু নাম না করলেও স্পষ্ট ভাবেই ভারতকে নিশানা করেছেন। কারণ, ভারত মহাসাগরের ওই দ্বীপরাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এবং শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় সেনা।
পাঁচ বছর ক্ষমতাসীন থাকার পর গত সপ্তাহে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ সোলি মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হন। শনিবার গভীর রাতে মলদ্বীপের নির্বাচন কমিশন জানায়, মোট বৈধ ভোটের ৫৪.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মুইজ়ু। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নির্বাচনে হার মানতে হয়েছে সোলিকে। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নজর ছিল ভারতেরও। কারণ সোলির ‘দিল্লিঘেঁষা’ নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েই ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন মুইজ়ু।
বিরোধী দলগুলি সম্মলিত ভাবে সমর্থন ঘোষিত ‘চিনপন্থী’ ওই নেতাকে সমর্থন জানিয়েছিল।প্রসঙ্গত, মালাবার উপকূলের অদূরের দ্বীপরাষ্ট্রটি ভারতের কাছে কূটনৈতিক এবং রণকৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এ বার প্রভাব বাড়তে পারে চিনের। যা নিশ্চিত ভাবেই নয়াদিল্লির কাছে অস্বস্তির কারণ হবে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মলদ্বীপের শাসনক্ষমতায় ছিলেন চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন। তাঁর সময় চিনা ঋণ নিয়ে দেশে একাধিক পরিকাঠামোগত নির্মাণ করেন তিনি। ইয়ামিনের ভাবশিষ্য বলে পরিচিত মুইজ়ু এই সমস্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ইয়ামিনকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন সোলি। ইয়ামিনের বিরুদ্ধে স্বৈরশাসনের অভিযোগ উঠলেও তাঁর পরাজয়ের নেপথ্যে ভারতের হাত ছিল বলে মনে করেন সে দেশের রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। যদিও নয়াদিল্লি তা মানেনি। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে মলদ্বীপে বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধাদের সাহায্যে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গায়ুমের সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা হয়েছিল। সে সময় ভারতীয় সেনা দ্রুত অভিযান চালিয়ে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy