The mystery behind the ghostly handprint of Francis Leavy dgtl
ghostly handprint
মৃত্যুর পর দিন মিলল রহস্যময় হাতের ছাপ, মোছা গেল না ২০ বছরেও !
রহস্যে মোড়া এই পৃথিবী। চারপাশে প্রতিনিয়িত এমন কিছু ঘটনা ঘটে চলেছে যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এমনই একটি অদ্ভুতুড়ে ঘটনা হল ফ্রান্সিস লেভির হাতের ছাপ। কে এই ফ্রান্সিস লেভি! কেনই বা তাঁর হাতের ছাপ নিয়ে এত আলোচনা? দেখে নেওয়া যাক।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ১৩:৫৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
রহস্যে মোড়া এই পৃথিবী। চারপাশে প্রতিনিয়িত এমন কিছু ঘটনা ঘটে চলেছে যার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এমনই একটি অদ্ভুতুড়ে ঘটনা হল ফ্রান্সিস লেভির হাতের ছাপ। কে এই ফ্রান্সিস লেভি! কেনই বা তাঁর হাতের ছাপ নিয়ে এত আলোচনা? দেখে নেওয়া যাক।
০২১৭
লেভি ছিলেন শিকাগো দমকল বিভাগের একজন সাধারণ কর্মচারী। কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ ব্যক্তিত্বের এই মানুষটি সহকর্মীদেরও বেশ পছন্দের ছিলেন।
০৩১৭
কিন্তু হঠাৎই ঘটে যায় এমন একটি ঘটনা যা তছনছ করে দেয় লেভির জীবন। দিনটি ছিল ১৯২৪-এর ১৮ এপ্রিল। সকাল থেকেই লেভি ছিলেন মনমরা। তাঁর আচরণের এমন পরিবর্তন চোখ এড়ায়নি সহকর্মীদেরও।
০৪১৭
আনমনে অফিসের একটি কাঁচের জানালা পরিষ্কার করতে করতে লেভি আকস্মিক তাঁর সহকর্মীদের জানান, তাঁর মনে হচ্ছে আজই তাঁর জীবনের শেষ দিন।
০৫১৭
তাঁর ওইরকম মন্তব্যে স্তম্ভিত হয়ে যান তাঁর সহকর্মী বন্ধুরা। আশেপাশের পরিবেশও হয়ে যায় গম্ভীর। ঠিক সেই মুহূর্তেই নিস্তব্ধতা ফুঁড়ে বেজে ওঠে অফিসের ফোন।
০৬১৭
জানা যায়, দমকলের ওই অফিস থেকে কয়েক হাত দূরে একটি বাড়িতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে এবং যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছনো প্রয়োজন।
০৭১৭
লেভি-সহ বাকি কর্মীরা একটুও সময় নষ্ট না করে পৌঁছে যান সেখানে। শুরু করে দেন তাঁদের উদ্ধারকার্য।
০৮১৭
প্ল্যানমাফিক কাজ এগোচ্ছিল। আগুনও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল অনেকটাই। কিন্তু হঠাৎই বাড়িটির নীচের তলাতেও কীভাবে যেন আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। লেভিরা আগুন আয়ত্তে আনার প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকেন।
০৯১৭
কিন্তু তত ক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। আগুনের লেলিহান শিখা ধীরে ধীরে গ্রাস করে নেয় সম্পূর্ণ বাড়িটিকেই। দেওয়ালগুলোও তাপ সহ্য করতে না পেরে ধসে পড়তে থাকে ক্রমশ।
১০১৭
শেষরক্ষা হল না। লেভির আশঙ্কাই সত্যি হয়। দুর্ঘটনায় মারা যান লেভি। মারা যান আরও অনেকে।
১১১৭
এতক্ষণ পর্যন্ত ঘটনাটি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক হলেও এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা বিশেষ কিছুই ছিল না। অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটে দুর্ঘটনার ঠিক পরের দিন।
১২১৭
কর্মচারীরা পরের দিন দমকল অফিসে রোজকারের মতো কাজে এলে অদ্ভুত একটি জিনিস লক্ষ্য করেন। প্রথমদিকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও পড়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান তাঁরা।
১৩১৭
অফিসের যে জানালাটি লেভি মারা যাওয়ার দিন পরিষ্কার করছিলেন, সেখানে দেখা যায় স্পষ্ট একটি হাতের ছাপ!
১৪১৭
অনেকবার ধোয়া মোছার পরেও অবিকল রয়ে যায় সেই ছাপ। এমনকি রাসায়নিক ব্যবহার করেও মুছে ফেলা যায় না।
১৫১৭
বছর ২০ অটুট ছিল সেই হাতের ছাপ। ১৯৪৪ এর ১৮ এপ্রিল এক কাগজ বিক্রেতা জানলা দিয়ে কাগজ ছুড়ে ভেতরে দেওয়ার সময় অসাবধানতা বসত কাচটিতে লাগে এবং তা ভেঙে যায়। আর একই সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায় সেই হাতের ছাপের রহস্য।
১৬১৭
পরবর্তী কালেও এই হাতের ছাপ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বারেবারেই মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে ওই হাতের ছাপ নিয়ে। কার হাতের ছাপ ছিল ওটি? লেভির! যদি লেভির হয়েও থাকে, এতবার ধোয়া মোছার পরও উঠল না কেন?
১৭১৭
উত্তর মেলেনি এই সব প্রশ্নের। রহস্য আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে।