মাদক কারবারির পর্দাফাঁস করল ব্যাঙ্ককের পুলিশ। — প্রতীকী ছবি।
বার বার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে কোরিয়ান সেজেছিলেন। কিন্তু তবুও শেষরক্ষা হল না। পুলিশের হাতে ধরাই পড়ে গেলেন তাইল্যান্ডের মাদক মাফিয়া ২৫ বছরের সহরত সাওয়াঙ্গজায়েং। এর আগেও তিন-তিন বার গ্রেফতার হয়েছিলেন এই মাদক কারবারি। কিন্তু প্রতি বারই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু এ বার আর শেষরক্ষা হল না। ব্যাঙ্ককের একটি আবাসন থেকে গ্রেফতার হলেন এই মাদক মাফিয়া।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সহরত নিজের আসল পরিচয় গোপন করার জন্য সিয়ং জেমিন হিসাবে নিজের পরিচয় দিতেন। নিজেকে সিয়ং হিসাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে বার বার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছিলেন। যাতে তাঁকে দেখে কোরীয় বলে মনে হয়। যদিও পুলিশের কাছে ধরা পড়ে গেল গোটা কাহিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, সহরত তাইল্যান্ডে এমডিএমএ মাদকের কারবার চালাতেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা ধরার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ‘এক সুন্দর কোরীয় মানুষ’-এর সন্ধান পায়। কে সেই সুন্দর কোরীয় মানুষ? আরও অনুসন্ধান চালানোর পর পুলিশ নিশ্চিত হয় কোরিয়ানের ছদ্মবেশে আসলে অন্য কেউ আছেন। ব্যাঙ্ককের একটি আবাসনে অভিযান চালিয়ে সেই ‘সুন্দর কোরীয় ব্যক্তি’কে গ্রেফতার করার পর তো পুলিশের চক্ষু চড়কগাছে! বার বার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে সহরত নিজের মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন। তাঁকে এখন আর তাইল্যান্ডের নাগরিক বলে মনেই হচ্ছে না।
সহরতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তিনি তাইল্যান্ডকে নিয়ে বিরক্ত। নতুন জীবন শুরু করতে চান। পুলিশের কাছে সহরত স্বীকার করে নিয়েছেন, ইউরোপ থেকে মাদক এনে তা তাইল্যান্ডে বিক্রি করতেন। ডার্ক ওয়েব থেকে বিটকয়েনের সাহায্যে চলত কেনাকাটা। তাইল্যান্ড পুলিশের মেজর জেনারেল থিরাডেজ থাম্মাসুতে বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ককে এমডিএমএ ব্যবসার অন্যতম প্রধান সহরত। ২৫ বছর বয়সেই তিনি ইউরোপ থেকে মাদক এনে এখানে বিক্রি করছিলেন। আমাদের বিশ্বাস, এই চক্রের আরও কয়েক জন বিদেশে বসে রয়েছেন। তাঁদেরও ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy