Advertisement
১৩ নভেম্বর ২০২৪
Jemaah Islamiyah

বাংলাদেশে ঘাঁটি করতে পারে জেআই, শঙ্কায় গোয়েন্দারা

সাউথ ব্লকের মতে, জেআই সব ছেড়ে দিয়ে বসে থাকার পাত্র নয়। এর প্রাক্তন সদস্যরা একটি ‘স্প্লিন্টার’ গোষ্ঠী তৈরি করতে চলেছে বলে খবর। তাদের নজরে বাংলাদেশও রয়েছে।

জঙ্গি সংগঠন।

জঙ্গি সংগঠন। —প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:০৬
Share: Save:

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী ইন্দোনেশীয় জঙ্গি সংগঠন জেমা ইসলামিয়া (জেআই, যারা ২০০২ সালে বালি হামলার জন্য কুখ্যাত) সম্প্রতি ঘোষণা করে নিজেদের দল ভেঙে দিয়েছে। এই সংগঠনের ১৬ জন প্রবীণ নেতা জানিয়েছেন, ‘শিক্ষা-কেন্দ্রিক’ এক নতুন সংগঠন তৈরির অভিপ্রায় রয়েছে তাদের। গোটা বিষয়টির দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি। সাউথ ব্লকে সূত্রের খবর, জেআই-এর নিজেদের ভেঙে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থির পরিস্থিতিতে। সর্বোপরি গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তাকেই এই ঘটনা প্রভাবিত করবে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে সাউথ ব্লকের।

সাউথ ব্লকের মতে, জেআই সব ছেড়ে দিয়ে বসে থাকার পাত্র নয়। এর প্রাক্তন সদস্যরা একটি ‘স্প্লিন্টার’ গোষ্ঠী তৈরি করতে চলেছে বলে খবর। তাদের নজরে বাংলাদেশও রয়েছে। বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রপন্থার পুনরুত্থান এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর পদ্ধতিগত আক্রমণের পরিস্থিতি তাদের ‘শিক্ষাদানের’ জন্য খুবই অনুকূল। এই গোষ্ঠী নানা ভাবে সেখানে ক্রিয়াশীল হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সূত্রের খবর, এই ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলিকে চিহ্নিত করা কঠিন হতে পারে। জেআই শিক্ষা কার্যক্রমে ঝুঁকে পড়ার ফলে বাংলাদেশে মৌলবাদ এবং চরমপন্থা চাঙ্গা হবে বলে অনুমান কেন্দ্রের।

নিরলস সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান চালিয়ে জেআইয়ের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। ১৫ বছরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে চরমপন্থার বাড়বাড়ন্ত অনেকটা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামপন্থীরা প্রতিহিংসা নিয়েই ফিরে এসেছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাও তার প্রমাণ।

অন্য বিষয়গুলি:

Terrorist South Block
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE