গ্রেফতারির পর এই প্রথম ফ্রান্সের বাইরে পা রাখলেন টেলিগ্রাম কর্তা পাভেল দুরভ। গত বছরের অগস্ট মাসে প্যারিসের লো বোর্গেট বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন বার্তা আদানপ্রদানের অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও দুরভ। পরে ৫০ লক্ষ ইউরোর (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৬ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা) বিনিময়ে জামিন পান তিনি। তবে জামিনের শর্ত ছিল, তিনি ফ্রান্সের বাইরে যেতে পারবেন না। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি ‘কয়েক সপ্তাহের জন্য’ ওই কড়াকড়ি শিথিল করেছে ফ্রান্সের আদালত। সোমবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পৌঁছেছেন দুরভ। বর্তমানে তিনি রয়েছেন দুবাইয়ে।
টেলিগ্রাম কর্তা দুরভের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধে জড়িত থাকার ‘প্রাথমিক অভিযোগ’ এনেছে ফ্রান্সের তদন্তকারী সংস্থা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে কিছু অপরাধী চক্র মাদক পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফি-সহ বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের অভিযোগ, এই সব অপরাধমূলক কার্যকলাপ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন টেলিগ্রাম কর্তা। সোমবার দুবাই থেকে দুরভ জানান, “কিছু অপরাধী টেলিগ্রাম ব্যবহার করেছিলেন বলে তদন্তের প্রয়োজনে আমাকে বেশ কয়েক মাস ফ্রান্সে থাকতে হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তবে ঘরে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে।”
আরও পড়ুন:
৩৯ বছর বয়সি পাভেল রুশ বংশোদ্ভূত। তবে তিনি থাকেন দুবাইয়ে। তিনটি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে তাঁর— রাশিয়া, ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। রুশ সরকারের সঙ্গে পাভেলের সংঘাত অনেক দিনের। অভিযোগ, ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপের তথ্যভান্ডার রুশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় পাভেলকে। সেই চাপের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৪ সালে রাশিয়া ছাড়েন তিনি। রাশিয়া থেকে দুবাইয়ে চলে যান। সেখান থেকেই অ্যাপ পরিচালনা করতেন তিনি।
গত বছরের ২৪ অগস্ট ব্যক্তিগত বিমানে প্যারিসের লো বোর্গেট বিমানবন্দরে নামতেই ফরাসি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। গ্রেফতারির চার দিন পরে ২৮ অগস্ট জামিন পান তিনি। তবে ফ্রান্সের আদালত শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দিলেও, এখনই ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন না তিনি। সপ্তাহে দু’দিন করে তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে হবে বলেও জানিয়েছিল আদালত।