কারজাইয়ের সঙ্গে সরকার গঠন নিয়ে বৈঠকে তালিবান নেতৃত্ব। ছবি: পিটিআই।
চুক্তি ভেঙে তালিবান কাবুল দখল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। দেশে সরকার গড়া নিয়েও আমেরিকার সঙ্গে তালিবানের আলাদা চুক্তি হয়েছে বলে এ বার উঠে এল রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, ৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত নাগরিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। তা না হওয়া পর্যন্ত সরকার গড়া যাবে না বলে তাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে তালিবানের।
গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। তার পর এক সপ্তাহ কাটতে চললেও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই এবং গনি-বিরোধী আবদুল্লা আবদুল্লার সঙ্গে সরকার গঠন নিয়ে লাগাতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সরকার গঠন নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। আমেরিকার সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিশেষ চুক্তিই তার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গনি জমানার এক আধিকারিক।
আমেরিকার সঙ্গে তালিবানের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সংগঠনের নেতা আনস হাক্কানিকে। তিনিই ওই বিশেষ চুক্তির কথা খোলসা করেছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন গনি সরকারের ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, কাবুল নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আগেই চুক্তি হয়ে গিয়েছিল তালিবানের। ৩১ অগস্ট পর্যন্ত তালিবানের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছিল আমেরিকা। যাতে ওই সময়ের মধ্যে সমস্ত নাগরিককে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে তারা। ৩১ অগস্ট আমেরিকা সকলকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া না পর্যন্ত তালিবান কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে লেখা ছিল ওই চুক্তিতে।
তালিবানের সঙ্গে সত্যি সত্যি কোনও চুক্তি হয়েছে কি না, তা নিয়ে আমেরিকার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বৃহস্পতিবার দেশের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, দেশের সমস্ত নাগরিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই তাঁদের লক্ষ্য। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের পরেও যদি আমেরিকার কোও নাগরিক থেকে যান আফগানিস্তানে? প্রশ্নের উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘‘আমেরিকার এক জন নাগরিকও যদি আফগানিস্তানে আটকে থাকেন, তাঁকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত সরব না আমরা।’’ যদিও ৯/১১ হামলার কুড়ি বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন বাইডেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy