উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র হানায় নিহত হয়েছেন এক নিরাপত্তা কর্মী। তালিবানের দাবি, এই হামলা তাদের কাজ নয়। হামলার ঘণ্টাকয়েক আগেই হেরাটে ঢুকে পড়েছিল তালিবান। আফগান বাহিনীর সঙ্গে এখনও তাদের প্রবল লড়াই চলছে। খবর, সেখানে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে আফগান সেনাবাহিনী।
হামলার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘সরকার-বিরোধী শক্তি আজ হেরাটে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন ইন আফগানিস্তান’-এর প্রাদেশিক সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার প্রবল নিন্দা করছি। এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা এখনও পুরোপুরি জানতে পারিনি।’’ হামলার নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস-ও। আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত ডেবোরা লিয়নস ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, কী ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ল, তা জানতে তালিবান ও আফগান বাহিনী— উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
গত কয়েক দিন ধরে ক্রমশ হেরাটের দিকে এগোচ্ছিল তালিবান বাহিনী। আজ সকালে প্রাদেশিক রাজধানী হেরাট সিটি-র দশ কিলোমিটার দূরে গুজ়ারায় চলে আসে তারা। সেখানে এখনও প্রবল লড়াই চলছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে হামলার দায় তো নেয়ইনি তালিবান, উল্টে তাদের দাবি, তালিবানকে লক্ষ্য করে ছোড়া আফগান সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রই গিয়ে পড়েছে সেখানে। হামলার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে, আজ বিকেলে, তালিবান মুখপাত্র কারি ইউসুফ আহমেদি একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি, আমাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’ কন্দহরে ভারতীয় সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির মৃত্যুর পরেও তালিবান দায় ঝেড়ে ফেলে দাবি করেছিল, আফগান বাহিনীর ছোড়া গুলিতেই দানিশের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরে জানা যায়, দানিশকে বন্দি করে পরে নির্মম ভাবে তাঁকে হত্যা করে তালিবান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy