Take a look at these products which did not work in the consumer market dgtl
Invention
বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ আবিষ্কার! এর কয়েকটির সঙ্গে পরিচিত আপনিও
এই পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের আচার-আচরণ যেমন আলাদা, তেমনই বাকিদের থেকে তাদের পছন্দও আলাদা। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা নিত্যনতুন পণ্য আবিষ্কারের চেষ্টা চালায়। তবে নতুনত্ব আনতে গিয়ে অনেক সময় এমন কিছু পণ্যের আবিষ্কার হয়েছিল, যা বাজারে একেবারেই চলেনি। কোনও কোনও পণ্য আবার বাজার পর্যন্তও পৌঁছয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০৯:০০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
এই পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের আচার-আচরণ যেমন আলাদা, তেমনই বাকিদের থেকে তাদের পছন্দও আলাদা। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা নিত্যনতুন পণ্য আবিষ্কারের চেষ্টা চালায়। তবে নতুনত্ব আনতে গিয়ে অনেক সময় এমন কিছু পণ্যের আবিষ্কার হয়েছিল, যা বাজারে একেবারেই চলেনি। কোনও কোনও পণ্য আবার বাজার পর্যন্তও পৌঁছয়নি।
০২১৬
কোকাকোলা কোম্পানি ঠান্ডা পানীয়ের জন্যই বাজারে পরিচিত। তবে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২০০৯-এ ‘ভিও’ নামে পরিচিত ‘কার্বনেটেড ফ্লেভারড মিল্ক’ আনে তারা। ঠান্ডা পানীয়তে মেশানো দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে পাস্তুরাইজড দুধের মিশ্রণে তৈরি হত এই পানীয়। বিভিন্ন কৃত্রিম স্বাদও মেশানো হত এই অদ্ভুত পানীয়ে।
০৩১৬
থ্রিডি-ফোরডি-র থেকেও এক ধাপ উপরে ভেবেছিলেন মাইক টড জুনিয়র, তা-ও আবার ১৯৬০ সালে। তিনি সিনেমাকে আরও আধুনিক ও বাস্তবসম্মত করার লক্ষ্যে নিয়ে এসেছিলেন ‘স্মেল-ও-ভিশন’। নাম শুনে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে যে এটা শুধু দৃশ্য দেখতেই নয়, সেই দৃশ্যে কোনও গন্ধের উপকরণ থাকলে তার ঘ্রাণও যাতে দর্শকেরা পান, সেটাই লক্ষ্য ছিল তাঁর। তবে মাত্র একটি সিনেমাতেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়।
০৪১৬
রোগা হওয়ার শখ অথচ জিমে যেতে চান না? বাড়িতেও যোগব্যায়ামে অনীহা? এই ধরনের লোকজনের কথা ভেবেই বাজারে আসে ‘ভাইব্রেটিং অ্যাব বেল্ট’। এই বেল্টের কম্পনে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে, এই দাবিই করা হয়েছিল। কিন্তু বিজ্ঞাপনে এ কথা চেপে যাওয়া হয় যে শরীরে মৃদু কারেন্ট শক দিয়ে চর্বি গলানো হত, যা হৃদপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
০৫১৬
অনেক বাচ্চাই বাড়িতে পোষ্য রাখার বায়না করে, কিন্তু নারাজ বাবা-মা! শিশুদের ইচ্ছাপূরণ করতে তৈরি হয়েছিল ‘তামাগচি’। ডিম্বাকার এই যন্ত্রকে পোষ্যের মতোই খেয়াল রাখতে হত, এ-বি-সি বাটনের দ্বারা স্নান, খাওয়া এবং ঘুম পাড়ানোর দায়িত্ব পালন করতে হত বাচ্চাদের। সময়মতো খেতে না দিলে প্রাণও চলে যেত তামাগচির। এমন খেলনা কে কিনতে চাইবে তার সন্তানের জন্য!
০৬১৬
সত্তরের দশকে আমেরিকার ‘পে-টয়লেট’ অনেকটা বর্তমান ‘পে অ্যান্ড ইউজ’ টয়লেটের মতোই, তবে এই শৌচাগার ব্যবহার করতে হত ঘড়ির সময় মেপে। ২৫ সেন্টে ১৫ মিনিটের জন্য ব্যবহার করা যেত, কিন্তু এক মিনিট বেশি সময় লাগলেই খুলে যাবে দরজা! আপনার গোপনীয়তা আর রক্ষা হবে না। রাস্তার উপর তৈরি এই শৌচাগার বসানোর কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যবহারকারীদের অভিযোগে তা বন্ধ করে দিতে হয়।
০৭১৬
টয়লেট পেপার ব্যবহার করে যাঁরা সম্পূর্ণ ভাবে সন্তুষ্ট হতে পারেন না, তাঁদের কথা ভেবে ২০০৯ সালে ‘কমফর্ট ওয়াইপ’ আনা হয়। ১৮ ইঞ্চির হাতলের মুখে লাগানো থাকবে নতুন টিস্যু। আপনার ব্যবহার হয়ে গেলে হাতলে দেওয়া বাটনে চাপ দিলেই সেই টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলে দিতে পারবেন। এই হাতলযুক্ত টিস্যুর যন্ত্র আবিষ্কার হলেও তা কোনও দিনই গ্রাহকদের সামনে আসতে পারেনি।
০৮১৬
চিপস খেতে সবাই ভালবাসেন, কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালোরির ভয়ে খেতে পারেন না অনেকেই। ক্যালোরি, কোলেস্টেরল ছাড়া এমনই এক চিপস নিয়ে এসেছিল লে’জ ’৯৬ সালে, নাম ছিল ‘ওয়াও’। ’৯৮ সালে এক পরীক্ষায় দেখা যায়, এটি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এই চিপস খেয়ে পেটব্যথা, বমি ও পেট খারাপ হওয়ার অভিযোগও ওঠে।
০৯১৬
উড়ন্ত গাড়ির কথা শুনেছেন কখনও? শুধু সিনেমায় নয়, বাস্তবেও এই গাড়ি তৈরি হয়েছিল। ১৯৪০ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ওহায়ো ওবধি এই গাড়ি ওড়ে,কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগে তা বাজারে আসেনি। ১৯৭৩ সালে আবারও এক বিজ্ঞানী ফোর্ডের পিন্টো গাড়িতে ডানা লাগাতে সক্ষম হন। তবে পরীক্ষা চলাকালীনই তা ভেঙে পড়ে এবং গাড়িটির সঙ্গেই আবিস্কারকেরও মৃত্যু ঘটে।
১০১৬
জানলার খড়খড়ি নিশ্চয়ই সবাই দেখেছেন, কিন্তু খড়খড়ির মতো দেখতে সানগ্লাস কি কখনও ব্যবহার করেছেন? গায়ক কানিয়ে ওয়েস্ট আশির দশকের এই সানগ্লাসের ট্রেন্ডকে আবারও ফিরিয়ে আনেন ২০০৭ সালে, তাঁর ‘স্ট্রংগার’ গানের ভিডিওর মাধ্যমে। এখনও বিভিন্ন পার্টিতে এই অপ্রয়োজনীয় সানগ্লাসের ব্যবহার দেখা যায়।
১১১৬
ত্বককে ভাল রাখতে অনেকেই বিভিন্ন ফেসিয়াল মাস্কের ব্যবহার করেন। ‘চারকোল’ থেকে শুরু করে ‘ভিটামিন সি’ মাস্ক রয়েছে ত্বকের খেয়াল রাখার জন্য। তবে কখনও ইলেকট্রিক মাস্কের কথা শুনেছেন? সিরিয়াল কিলারের মুখোশের মতো দেখতে এই মাস্কের উপযোগিতা না থাকলেও চামড়া পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল অনেক। ১৯৯৯ সালেই বাজারে আসে এই মাস্ক এবং কয়েক মাসের মধ্যেই বিদায় নেয়।
১২১৬
ফোনের স্ক্রিনে আঙুলের ছাপ অনেকের কাছে বিরক্তকর। সেইসব ব্যবহারকারীদের জন্য ল্যাটেক্সের আঙুলের গ্লাভস বিক্রি শুরু হয়। কেবলমাত্র আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন রঙে পাওয়া যেত এই গ্লাভস, তবে আঙুলের মাপ কী ভাবে নেওয়া সম্ভব? আঠালো এই আঙুলের গ্লাভসও বেশি দিন চলেনি তাই।
১৩১৬
বিদেশিরা অনেকেই নিজেদের সাদা চামড়ায় বিরক্ত, তাঁদের চাই রোদে পোড়া ‘ট্যানড বডি’। সত্তরের দশকে এই ট্যান হওয়ার কৃত্রিম পদ্ধতি আবিষ্কার হয়, যা ট্যানিং বেড নামে পরিচিত। ২০১০ সালের এক গবেষণায় প্রথম জানা যায়, এই ট্যানিং বেড থেকে নির্গত ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি ত্বকের ক্যানসারের প্রধান কারণ।
১৪১৬
প্যারাস্যুটের ব্যবহার বাড়াতে ১৯১২ সালে এক জার্মান আবিষ্কারক নিজে তৈরি করেন এক জ্যাকেট, যা প্যারাস্যুটের কাজও করবে। জ্যাকেটের আনুষ্ঠানিক মুক্তির দিন তিনি জ্যাকেটটি পড়ে আইফেল টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেন কার্যকারিতা দেখানোর জন্য, তবে জ্যাকেটটি কাজ না করায় তাঁর মৃত্যু ঘটে।
১৫১৬
‘হানিগার’ নামটা শুনেই নিশ্চয় বুঝতে পারছেন জিনিসটা কী? মধু ও অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের মিশ্রণ দিয়ে ১৯৫৯-এ তৈরি হয়েছিল হানিগার। মধু ও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার আলাদা ভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হলেও তাদের এই মিশ্রণ স্বাদেও যেমন বাজে ছিল, তেমনই স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী নয়।
১৬১৬
ছোটবেলায় কম্পিউটারে নোটপ্যাডে কোনও কিছু লিখতে গেলেই চলে আসতো ‘ক্লিপি’। ‘মাইক্রোসফট অফিস ৯৭’ ভার্সনে দেখা মিলত এই ক্লিপির। লেখায় সাহায্য করার জন্যই কিছুটা এখনকার অটো কারেক্টের মতো কাজ করত ক্লিপি। লেখার মাঝে বার বার ক্লিপির বিরক্তিকর লাফের অভিযোগেই এই টুলটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।