চিনের আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে তাইওয়ান। ছবি: রয়টার্স।
চিনের আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব তাইওয়ান। গত কয়েক মাসে কয়েকশো বার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে চিনা যুদ্ধবিমান চক্কর কেটেছে বলে অভিযোগ করেছিল স্বাধীন এই দ্বীপ রাষ্ট্র। এ বার তাদের ভয়, যে কোনও সময়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বিমানবন্দরগুলি অবরুদ্ধ করে দেবে চিনের সামরিক বাহিনী। প্রতি দু’বছর অন্তর জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আজ সেই রিপোর্ট প্রকাশ করার পরে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, শক্তিধর এই পড়শি দেশের আগ্রাসী নীতির জন্য রীতিমতো আতঙ্কে আছে তারা।
তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে বেজিং। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করেও যে তারা ওই দ্বীপ রাষ্ট্রের দখল নিতে পারে এমন প্রচ্ছন্ন হুমকিও মাঝে মধ্যেই দিয়ে থাকে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। তাদের চাপে রাখতেই গত কয়েক মাসে বারবার চিনা যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাইওয়ান সরকারও এক বাক্যে আজ ওই রিপোর্টে স্বীকার করেছে যে, সুকৌশলে তাদের উপরে ধীরে ধীরে চাপ বাড়াতে চাইছে শি চিনফিংয়ের সরকার। যাতে বারবার নিজেদের প্রতিরোধ করতে করতে একটা সময় ভেঙে পড়ে তাদের দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেই জন্যই প্রথমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর আর বিমানবন্দরগুলি দখল করে বহির্বিশ্বের সঙ্গে এই দ্বীপ রাষ্ট্রের যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে চাইছে চিন। আমেরিকার মতো কোনও শক্তিধর দেশ যাতে তাইওয়ানকে সাহায্য করতে না পারে, তাই আগে ভাগে দেশের বন্দর আর বিমানবন্দরগুলিকে বেজিং নিশানা করতে চাইছে বলে অভিযোগ।
একই সঙ্গে অভিযোগ, তাইওয়ান প্রণালীর স্থিতাবস্থাও নষ্ট করতে চায় চিন। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য এই সব অভিযোগ নিয়ে একটা কথাও বলেনি। কোনও বিবৃতি দেয়নি চিনের সামরিক বাহিনীও।
কিন্তু চিনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সাই ইং-ওয়েন। কোনও চাপের কাছে তিনি নতিস্বীকার করবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিজের মাতৃভূমিকে চিনা আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে সাই জানিয়েছেন, আপাতত দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করতে চান তিনি। মিত্র দেশ আমেরিকার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনে সরকার এখন নিজেই তৈরি করছে দেশজ অস্ত্র। শুধু নিজেদের প্রতিরক্ষাই নয়, চিনকে পাল্টা আক্রমণ করতেও নিজেদের অস্ত্র ভান্ডার বাড়াচ্ছে তাইওয়ান। যার মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy