বাংলাদেশের রাজপথে আন্দোলনকারীরা। —ফাইল চিত্র।
শেখ হাসিনার বাংলাদেশ থেকে পলায়নের পরই সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ় জ়ামান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ চালানো হবে। সোমবার রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন জানান, বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরই এ বার সংসদ ভাঙার জন্য চরমসীমা দিয়ে রাখলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষনেতৃত্ব। বিবিসি বাংলা-তে প্রকাশ, মঙ্গলবার বিকেল ৩টের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার চরমসীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম আরও দুই সমন্বয়ককে সঙ্গে নিয়ে এই দাবি করেছেন। ‘বিবিসি বাংলা’-র প্রতিবেদনে উল্লেখ, রাষ্ট্রপতির ভাষণে সংসদ ভেঙে দেওয়ার বার্তার কথা তুলে ধরেছেন নাহিদরা। তিনি বলেছেন, “একটি অভ্যুত্থানের পরেও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংসদ রয়ে গিয়েছেন।” এমতাবস্থায় মঙ্গলবার বিকেল ৩টের মধ্যে সংসদ ভেঙে দেওয়া না হলে আগামী দিনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও “কঠোর কর্মসূচি” গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি। উল্লেখ্য, সোমবার রাতেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে জানানো হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশ, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সে দেশে। সোমবার বিকেলেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধানও। ‘প্রথম আলো’-র এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে প্রকাশিত খবর, জাতীয় সংসদ ভেঙে দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy