কলকাতায় ফিরলেন বিতস্তা গুপ্ত। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ইউক্রেন এবং রোমানিয়ার সীমান্তে তুষারপাতের মধ্যে আটকে ছিলেন টানা ৩৫ ঘণ্টা। সেই দুঃসময় কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতার মাটিতে পা রাখলেন ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া তরুণী, উত্তরপাড়ার বিতস্তা গুপ্ত। এ দিনেই রাত সাড়ে ৮টার কিছু আগে ইউক্রেন থেকে কলকাতায় ফিরেছেন আর এক ডাক্তারি পড়ুয়া, ভদ্রেশ্বরের মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায়।
বিতস্তা ইউক্রেনের টার্নোপিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী। বিমানবন্দরের গেট থেকে বেরোতেই বাবা দেবাশিস গুপ্ত জড়িয়ে ধরলেন মেয়েকে। বিতস্তা বলেন, “ওই তুষারপাতের মধ্যে যখন ছিলাম, মনে হচ্ছিল, কত দিনে বাড়ি ফিরব! রোমানিয়া সীমান্তে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এত মানুষ রোমানিয়া সীমান্ত দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিল যে, খুব ভিড় হয়ে যায়। ফোনে চার্জ ছিল না। ফলে বাড়িতেও যোগাযোগ করতে পারছিলাম না।” দেবাশিসবাবু বললেন, “ফোন বন্ধ থাকায় মেয়ের খোঁজ না-পেয়ে খুব অসহায় লাগছিল। শেষে রোমানিয়ায় ঢুকে ও আমাকে ফোন করল। সেখান থেকে ভারত সরকারের সহযোগিতায় দিল্লিতে পৌঁছয়। তার পরে কলকাতায় ফেরে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায়।”
বিমানবন্দরে নেমেই কাকিমার হাত থেকে মিষ্টি খেয়ে বিতস্তা বলেন, “মিষ্টি আমার খুব প্রিয়। ওখানে কলকাতার মিষ্টি খুব মিস করতাম। তবে পরিস্থিতি ভাল হলেই আবার ইউক্রেনে ফিরে যেতে চাই। পড়াশোনা বাকি পড়ে রয়েছে যে।”
ইউক্রেন থেকে ফেরা মৈত্রেয়ীর বাবা প্রবীর মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁর মেয়েও রোমানিয়া সীমান্ত দিয়ে ফিরেছে। রোমানিয়া সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছয় একটি বাসে। বাসের গায়ে ভারতের পতাকা লাগানো ছিল। বাস থেকে নেমে রোমানিয়া সীমান্তে বেশ কয়েক কিলোমিটার হাঁটতেও হয়েছে। তবে সীমান্ত পেরোতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি মৈত্রেয়ীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy