ঘূর্ণিঝড়ের পর মাটি ফুঁড়ে উঠে এল ব্রোঞ্জ যুগের এই জঙ্গল
একটা মাত্র ঘূর্ণিঝড়ই সবকিছু পাল্টে দিল। মাটি ফুঁড়ে উঠে এল ব্রোঞ্জ যুগের জঙ্গল।
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ১৪:২৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৮
ব্রোঞ্জ যুগে বন্যায় ডুবে গিয়েছিল আস্ত একটা জঙ্গল। গত চার হাজার বছরের বেশি সময় ধরে মাটির নীচে চাপা ছিল সেটি। সমুদ্রের নোনা জল, বালি এবং ঘাসের চাপড়ের নীচে প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু একটা মাত্র ঘূর্ণিঝড়ই সবকিছু পাল্টে দিল। মাটি ফুঁড়ে উঠে এল ব্রোঞ্জ যুগের সেই জঙ্গল।
০২০৮
দক্ষিণ-পশ্চিম ব্রিটেনের ওয়েলসে সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে। গত ২২ মে সেখানে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় হ্যানা। তার পরই সমুদ্র তীরবর্তী বর্থ এবং আনিস্লাস গ্রামের মধ্যবর্তী তিন-চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওই জঙ্গলের হদিশ মেলে। হঠাৎ মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা ওই জঙ্গল নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে চারিদিকে।
০৩০৮
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে ইতিমধ্যেই ওই জঙ্গলের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে শিকড়-বাকড় সমেত বহু গাছের অবশিষ্ট অংশকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও গাছের উপর আবার ঘাসের আস্তরণও চোখে পড়েছে।
০৪০৮
হঠাৎ করে সামনে আসা এই জঙ্গল নিয়ে মানুষের মধ্যেও কৌতূহল দেখা দিয়েছে। দেখা গিয়েছে ওই জঙ্গলে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার হিড়িকও। তবে কেউ কেউ আবার এই জঙ্গলের সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক সভ্যতার যোগও খুঁজে পেয়েছেন।
০৫০৮
তাঁদের কথায়, জঙ্গলের পাশাপাশি ওই এলাকায় জনবসতিও ছিল। ছিল চাষযোগ্য উর্বর জমিও। বন্যা আটকাতে চারিদিকে মজবুত বাঁধও নির্মাণ করেছিলেন সেখানকার মানুষ।জনশ্রুতি, এক মেরেডিড নামের মহিলা পুরোহিত কর্তব্যে অবহেলা করলে, তাঁর তদারকির দায়িত্বে থাকা একটি কুয়োর জল উপচে পড়ে। তাতেই সব কিছু ডুবে যায়।
০৬০৮
ডুবে যাওয়া ওই জঙ্গলে পাইন, ওক, বার্চ-এর মতো গাছ ছিল বলে ধারণা। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেলে সেগুলি নোনা জলের নীচে তলিয়ে যায় বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের মেট্রো সংবাদপত্র। কিন্তু ঘাসের চাঙর এবং কাদামাটি জমা হয়ে গাছগুলি প্রকৃতিক ভাবেই সংরক্ষিত হয়ে যায়।
০৭০৮
স্থানীয় বাসিন্দারা যদিও জানিয়েছেন, এর আগেও ওই এলাকায় কিছু গাছের অবশিষ্ট অংশ চোখে পড়েছে। মানুষের জীবাশ্ম এবং পশুপাখিদের পায়ের ছাপও খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তবে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে জঙ্গলের হদিশ এই প্রথম।
০৮০৮
আজও ওই এলাকা থেকে মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া গির্জার ঘণ্টা বাজতে শোনা যায় বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। তবে এর কোনও তথ্যনিষ্ঠ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।