Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
srilanka

Sri Lanka Crisis: গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ রনিল বিক্রমসিংহের

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন রনিল বিক্রমসিংহ। শুক্রবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়েছে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
কলম্বো শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২২ ১৮:৫৩
Share: Save:

আর্থিক ভাবে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভের আবহে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার দু’মাস যেতে না যেতেই ইস্তফা দিতে চাইলেন রনিল বিক্রমসিংহ। শনিবার এক বিবৃতিতে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন রনিল। তবে একটি সংবাদসংস্থার দাবি, পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

টুইটারে বিক্রমসিংহ জানিয়েছেন, দেশের মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে সর্বদলের সরকার গঠন যাতে করা যায়, সে কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্কট কাটাতে শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের জেরে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন বিক্রমসিংহ। কিন্তু তার পরও শ্রীলঙ্কার সঙ্কটময় পরিস্থিতির বদল হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতা সাজিত প্রেমদাসা।

অন্য দিকে, শুক্রবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রে বিক্ষোভ নতুন চেহারা নিয়েছে। রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এর আগেই প্রেসিডেন্টকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। বাসে, ট্রেনে, গাড়িতে করে দলে দলে মানুষ আসতে থাকেন রাজধানী কলম্বোয়। বিপদ আঁচ করে শুক্রবার রাতেই প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয় সেনা। প্রবল উৎকণ্ঠায় রাত কাটলেও জনতার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে সকালে। কার্ফু উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ কলম্বোয় রাজাপক্ষের সরকারি প্রাসাদ ঘিরে ধরেন।কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছুড়ে, শূন্যে গুলি ছুড়েও তাঁদের রুখতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। একটি অংশের দাবি, তাতেই আরও উত্তপ্ত হয় জনতা। এক সময় ব্যারিকেড ভেঙে স্রোতের মতো মানুষ ঢুকে পড়তে শুরু করেন রাজাপক্ষের প্রাসাদে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE