(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালে ‘হাউডি মোদী’ নামাঙ্কিত সেই মেগা সম্মেলনে বক্তৃতার সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘আব কি বার, ট্রাম্প সরকার।’ ছ’বছর পরে সত্যি হল সেই ভবিষ্যদ্বাণী। দুই নেতার বিশেষ সম্পর্ক, এক ‘ডাবল ইঞ্জিন’ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকে এগিয়ে গেল।
ভারতীয় এবং আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজের এবং তাঁর পরিবারের উচ্চ ধারণা রয়েছে। তাঁর ফিরে আসার পরে, ভারত-আমেরিকা মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা, দরকষাকষির বিষয়টি ফের আলোচনার টেবিলে চলে আসবে বলে আশা করা যায়, যা বাইডেনের সময়ে থমকে গিয়েছিল। দু’দেশই পরস্পরের বাজারে আরও বেশি করে প্রবেশ করতে পারবে, উভয়েই লাভবান হবে বলে আশা করা যায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্যিক বিচক্ষণতা কিংবদন্তি। যদিও তাঁর প্রথম দফায় ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যক্ষেত্রে কিছু সমস্যায় পড়েছিল, তেমন অনেক সুযোগও এসেছিল নয়াদিল্লির সামনে। অতিমারিতে যখন আন্তর্জাতিক বণ্টন ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যস্ত করার সুযোগ এসেছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই চোখে আঙুল দিয়ে দেখান, চিনের অর্থনৈতিক পদক্ষেপের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ধসে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়ে ভারত-আমেরিকা কৌশলগত সম্পর্ক নতুন বাঁক নেয়, প্রতিরক্ষা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি হয়। এটা আরও বেশি করে উল্লেখযোগ্য কারণ, আমেরিকার পুরনো সামরিক সম্পর্ক— নেটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু অংশীদারের সম্পর্কে তাঁর অনীহা সবারই জানা। সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচারের বিষয়ে তাঁর ‘পোস্ট’ ট্রাম্পের মানসিকতার ইঙ্গিত বহন করছে। এটাও মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানকে নিয়ে তাঁর কড়া মনোভাব রয়েছে।
অতীতে ট্রাম্পের সঙ্গে সফল দৌত্য করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর সমীকরণ ভাল। তিনি চান, ইউক্রেন এবং পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ থামুক। এ ব্যাপারেও ভারতের সঙ্গে তাঁর মতের মিল রয়েছে।
(অনুলিখন অগ্নি রায়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy