শুকিয়ে গিয়েছে টেমসের উৎসমুখ।
লন্ডনের নাম উঠলেই টেমস নদীর নাম আসে। লন্ডন আর টেমস যেন ‘হরিহর আত্মা’। যে টেমসকে নিয়ে লন্ডনের গর্ব, সেই টেমস কি অদূর ভবিষ্যতে শুকিয়ে যাবে? এমনই আশঙ্কায় ত্রস্ত ব্রিটেন।
তীব্র গরমের সঙ্গে লড়ছে ইংল্যান্ড। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, যে ভাবে গরম বাড়ছে তাতে আগামী দিনে খরার মুখও দেখতে হতে পারে ইংল্যান্ডকে। ইতিমধ্যেই টেমস নদীর উৎসমুখ আগের তুলনায় অনেকটাই শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে আশঙ্কা ঘনাচ্ছে যে, টেমস শুকিয়ে যেতে পারে। অ্যাস্টন কেনসের কাছে টেমসের উৎসমুখ পুরো শুকিয়ে গিয়েছে। ১৯৭৬ সালের পর ঘটল এই পরিস্থিতি।
৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ টেমস বয়ে গিয়েছে লন্ডন-সহ গোটা দক্ষিণ ইংল্যান্ড জুড়ে। টেমস নদীর উৎস গরমের সময় খানিকটা শুকিয়ে যায়। কিন্তু এ বছর আগের বছরগুলির তুলনায় অনেকটা বেশি শুকিয়ে গিয়েছে। রিভার্স ট্রাস্ট-এর পলিসি অ্যান্ড সায়েন্স ডিরেক্টর রব কলিন্স জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে গ্লস্টারশায়ারের কাছে টেমসের উৎসমুখ শুকিয়ে গিয়েছে। নদীর স্রোতও ক্রমে দুর্বল হচ্ছে।
ব্রিটেনের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৯৩৫-এর পর এ বছরে জুলাই মাস সবচেয়ে শুষ্ক ছিল। বৃহস্পতিবারই তারা সতর্কবার্তা দিয়েছে তাপপ্রবাহ এবং শুষ্ক আবহাওয়ার পরিস্থিতি আরও বেশ কয়েক দিন থাকবে। ব্রিটেনের বহু জায়গা বিশেষ করে দক্ষিণ ভাগে তাপমাত্রা বহু গুণ বেড়েছে গড় তাপমাত্রার তুলনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy