জিনা হ্যাসপেল। ছবি সৌজন্য: টুইটার।
মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র ডিরেক্টরের পদে বসার আগেই প্রশ্ন উঠেছে জিনা হ্যাসপেলকে নিয়ে। এই পদের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত করেছেন জিনাকে। সে সূত্রে এই প্রথম গুপ্তচর সংস্থার শীর্ষে আসার কথা এক মহিলার। কিন্তু রিপাবলিকান দলের মধ্যেই অনেক সদস্য জিনাকে নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তাঁরা বলছেন, সিআইএ-র ‘জিজ্ঞাসাবাদ এবং আটক করার’ পর্বে তাঁর ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন আছে। গুপ্তচর সংস্থার ডিরেক্টরের পদে বসার আগে সব ব্যাখ্যা দিতে হবে জিনাকে।
৩০ বছর ধরে সিআইএ-র কাজ তাঁর নখদর্পণে। তা-ও কেন আপত্তি? ২০০২ সালে তাইল্যান্ডে সিআইএ-র ‘ব্ল্যাক সাইট’ কারাগারের দায়িত্বে ছিলেন জিনা। এক মার্কিন দৈনিকের দাবি, ওই কারাগারে দুই বন্দির জেরার দায়িত্বে ছিলেন জিনা। এক বন্দিকে সে সময় এক মাসে ৮৩ বার ‘ওয়াটারবোর্ড’ (জল যন্ত্রণা) করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
কী এই জল যন্ত্রণা?
কারও মুখে কাপড় দিয়ে ঢেকে উপর থেকে এমন ভাবে জল ঢালা হয় যাতে শ্বাসনালি জলে ভরে যায়। তাতে ডুবে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। বন্দিকে সে সময় চারপাশ থেকে আরও অনেকে চেপে ধরে রাখেন, যাতে সে নড়াচড়া করতে না পারে।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়ে সিআইএ-তে তাঁর জেরা-পর্ব নিয়ে রিপাবলিকানদের পাশাপাশি বিরোধী ডেমোক্র্যাটরাও সরব হবেন বলে তৈরি হচ্ছেন। জিনার কাজের অতীত রেকর্ড প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। সব রিপাবলিকান সদস্য জিনার পাশে না দাঁড়ালে তাঁর শীর্ষ পদে বসা অনিশ্চিত হয়ে যেতেও পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যারিজোনার রিপাবলিকান সেনেটর জন ম্যাকেন (যিনি নিজে ভিয়েতনামের যুদ্ধে বন্দি হিসেবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘গত এক দশকে মার্কিন হেফাজতে থাকা বন্দিদের কী নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে, তা এ দেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়। সিআইএ-র জেরায় তাঁর কী ভূমিকা ছিল, ব্যাখ্যা দিতে হবে জিনাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy