Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Asma Fawzi Mohammed Al-Qubaysi

নিহত আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির স্ত্রী আসমার মৃত্যুদণ্ড! কেন সাজা ইরাকের আদালতে?

বাগদাদির ‘প্রথম স্ত্রী’ আসমা আইএসের অন্দরে উম্মে হুদাইফা নামে পরিচিত। বাগদাদির মৃত্যুর আগেই ২০১৮ সালের জুনে সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসমাকে তুরস্কের সেনা গ্রেফতার করেছিল।

(বাঁ দিকে) আল-বাগদাবি। আসমা ফাওজ়ি মহম্মদ আল-কুবায়সি(ডান দিকে) ।

(বাঁ দিকে) আল-বাগদাবি। আসমা ফাওজ়ি মহম্মদ আল-কুবায়সি(ডান দিকে) । — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১২:৩২
Share: Save:

আমেরিকার সেনা অভিযানে নিহত আইএস (ইসলামিক স্টেট) নেতা আবু বকর আল বাগদাদির স্ত্রী আসমা ফাওজ়ি মহম্মদ আল-কুবায়সির মৃত্যুদণ্ডের সাজা হল। বুধবার ইরাকের একটি আদালত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে তাঁকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি।

বাগদাদির ‘প্রথম স্ত্রী’ আসমা আইএসের অন্দরে উম্মে হুদাইফা নামে পরিচিত। রানিয়া মেহমুদ তাঁর আর এক ছদ্মনাম। বাগদাদির মৃত্যুর আগেই ২০১৮ সালের জুন মাসে সিরিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা হাতায় প্রদেশ থেকে আসমাকে তুরস্কের সেনা গ্রেফতার করেছিল। পরে ইরাকের হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর থেকে জঙ্গি সংগঠনটির ‘অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ’ সম্পর্কে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল তুরস্কের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার তরফে।

পশ্চিম বাগদাদের কার্খের ফৌজদারি আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে নিনেভে প্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের শিঞ্জর অঞ্চল এবং আশপাশের এলাকা দখল করে নিয়েছিল আইএস বাহিনী। সে সময় তারা হাজার হাজার ইয়াজ়িদিকে হত্যা এবং বন্দি করেছিল। অসংখ্য ইয়াজ়িদি নারীকে তারা জোর করে যৌনদাসী হতে বাধ্য করেছিল। আর শিঞ্জর অঞ্চল থেকে আইএস সেনাদের অপহরণ করে আনা ইয়াজিদি নারীদের আটকে রেখে অত্যাচার চালানোয় প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল আসমার।

এমনই এক নির্যাতিতা ইয়াজ়িদি মহিলার পরিবারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই মৃত্যুদণ্ড হয়েছে আসমার। প্রসঙ্গত, আইএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাগদাদি ২০১৪ সালে নিজেকে ‘খলিফা’ হিসাবে ঘোষণা করেন। তার পর থেকে হিংসার নিরিখে অন্যান্য সব জঙ্গি সংগঠনকে টেক্কা দিয়ে দিয়েছিল আইএস। ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশের দখল নিয়ে সমান্তরাল সরকার চালাতে শুরু করেছিল তারা। এমনকি, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ওই গণ্ডি ছাড়িয়ে আফগানিস্তানেও পৌঁছে গিয়েছিল তারা।

২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের বারিশা এলাকায় বাগদাদির ডেরায় হানা দেয় মার্কিন বাহিনীর ডেল্টা ফোর্স এবং ৭৫তম রেঞ্জার্স রেজিমেন্ট। আচমকা হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েন বাগদাদি। তিন সন্তানকে নিয়ে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেখানেই আত্মঘাতী জ্যাকেটের বোতাম টিপে তিন সন্তান ও নিজেকে উড়িয়ে দেন। সেই সময় তাঁর কয়েক জন অনুচরও ওই ডেরায় ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আমেরিকার সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন। আত্মসমর্পণও করেন কয়েক জন। বারিশার ওই ডেরা থেকে ইয়াজ়িদি এক যৌনদাসীকে উদ্ধার করেছিল ডেল্টা ফোর্স।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy