—প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি স্বাভাবিক করার জন্য ভারত সরকারের কাজে আর্জি জানাল শেখ হাসিনা সরকার। রাজস্থানের জয়পুরে জি ২০-র বাণিজ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে শনিবার পার্শ্ববৈঠক করেন ভারতের পীষূষ গয়াল এবং বাংলাদেশের টিপু মুন্সি। সেখানেই এই আবেদন জানান বাংলাদেশের মন্ত্রী।
গত বছর ভারত কয়েক ঘণ্টার নোটিসে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সে দেশে চাহিদার ৪০-৪৫ শতাংশই মেটায় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। সেই সময়ে দুই দেশ আলোচনা করে ঠিক করে, যে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাংলাদেশে যায়, সেগুলি রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ হলেও পড়শি এই দেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। ভুটানের জন্য ইতিমধ্যেই এমন ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ঠিক হয় কোন কোন পণ্য এই তালিকায় থাকবে, কী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেবে ভারত, তা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কিন্তু তার আগেই গত সপ্তাহে পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করে দিল্লি।
ভারত সরকার ঘোষণা করেছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক আরোপিত থাকবে। এ দিকে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। সেই ভোটে মূল্যবৃদ্ধি একটি প্রধান বিষয় বলে চিহ্ণিত করেছে শাসক দল। পেঁয়াজের উপরে ভারতের রফতানি শুল্ক আরোপে তার দাম ইতিমধ্যেই লাফিয়ে বেড়েছে সে দেশের বাজারে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বলেন, প্রতিশ্রুতি মতো বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলি অবাধে রফতানির বিষয়ে ভারত যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশে রফতানির ক্ষেত্রে পেঁয়াজের উপর শুল্ক প্রত্যাহারের আর্জিও জানান মুন্সি। পীযূষ গয়াল বলেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রাখতে ভারতকেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পালন করা হবে। আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজ চাষ ভাল হয়নি এ বার। রফতানিতে লাগাম পরিয়ে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। তবে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy