Shakti Mohan, Once doctors said that she would never be able to walk again dgtl
Shakti Mohan
স্নাতক পরীক্ষায় প্রথম, চিকিৎসকদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে নাচের মঞ্চে হিল্লোল তোলেন শক্তি
পড়াশোনায় বরাবরই ভাল। বড় হয়ে আইএএস হতে চেযেছিলেন। স্নাতক স্তরে বিশ্ববিদ্যলয়ে প্রথমও হয়েছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২১ ১৩:১৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
পড়াশোনায় বরাবরই ভাল। বড় হয়ে আইএএস হতে চেযেছিলেন। স্নাতক স্তরে বিশ্ববিদ্যলয়ে প্রথমও হয়েছিলেন।
০২১৪
কিন্তু তা সত্ত্বেও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর পড়াশোনা নিয়ে আর এগোলেন না তিনি। বরং পেশা হিসাবে বেছে নিলেন তাঁর নেশাকেই।
০৩১৪
তিনি শক্তি মোহন। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী। হিন্দি ছবির কিছু সুপারহিট গানের নৃত্য পরিচালক তিনি। করেছেন একাধিক গানের অ্যালবাম। নাচের রিয়েলিটি শো-এ বিচারকের আসনেও বসেছেন তিনি।
০৪১৪
নৃত্যশিল্পী হওয়ার পিছনে পরিস্থিতিও তাঁর সঙ্গ দেয়নি ছোটবেলা থেকে। নাচ ছিল তাঁর ভালবাসা, তাঁর নেশা। কিন্তু ছোটবেলায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল তাঁর জীবনে।
০৫১৪
নাচ তো দূর অস্ত্, সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পর্যন্ত পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেখান থেকেই একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়ানো তাঁর। আত্মবিশ্বাসে ভর করে চিকিৎসকদের ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর নাচের কঠিন স্টেপ দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে এক সময় তাঁর হাঁটাচলা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
০৬১৪
শক্তির জন্ম ১৯৮৫ সালে দিল্লিতে। তবে জন্ম দিল্লিতে হলেও ছোটবেলা কেটেছে মুম্বইয়েই। মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। স্নাতক স্তরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন তিনি।
০৭১৪
শক্তি বরাবরই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন। ইচ্ছা ছিল আইএএস অফিসার হতে। কিন্তু স্নাতক হওয়ার পরই ২০০৯ সালে তাঁর নাচের শিক্ষক তাঁকে একটি রিয়েলিটি শো-এ অংশগ্রহণ করান। তাতে জয়ী হন শক্তি।
০৮১৪
তারপরই টেরেন্স লেউইস ডান্স ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ট্রাস্ট থেকে স্কলারশিপ নিয়ে নাচে ডিপ্লোমা করেন তিনি। এর পর থেকেই পড়াশোনা ছেড়ে নেশাকেই পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ার সিঁড়ি চড়তে শুরু করেন শক্তি।
০৯১৪
শক্তির কাছে এই সিঁড়ি ছিল মসৃণ। একের পর এক দারুণ পারফরম্যান্স তাঁকে খুব দ্রুত কেরিয়ারের শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
১০১৪
‘তীস মার খান’, ‘রাউডি রাঠৌর’, ‘শুকুন’-সহ একাধিক ছবিতে নাচের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ‘ধুম ৩’, ‘পদ্মাবত’, ‘নবাবজাদে’-র মতো ছবিতে নৃত্য পরিচালনাও করেছেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন নাচের অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনেও বসেছেন তিনি।
১১১৪
তিনি যে কখনও নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠতে পারবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি। মাত্র ৪ বছর বয়সে বোনকে নিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শক্তি।
১২১৪
রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুত গতিতে ছুটে আসা একটি মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁর পায়ের উপর উঠে যায়।
১৩১৪
ভয়ঙ্কর চোট পেয়েছিলেন শক্তি। ৭ মাস বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতে পারেননি তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনও ভাবেই আর সাহায্য ছাড়া হাঁটাচলা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। কিন্তু মায়ের বিশ্বাস ছিল শক্তির উপর।
১৪১৪
অনেক চিকিৎসার পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। শুধু হাঁটাচলাই নয়, নির্দ্বিধায় এবং মুক্তভাবে নাচতেও শুরু করলেন কয়েক মাসের মধ্যে। সেই মেয়েই আজ নাচে মন ভরিয়ে দেন অনুগামীদের।