রাফায় হামলা। ছবি রয়টার্স।
ইরানের সঙ্গে তরজার মধ্যেও নেতানিয়াহু যে রাফা হামলার ‘প্রতিশ্রুতি’ ভুলে যাননি, বুধবার রাতের আকাশহানা ঠিক তারই প্রমাণ দিল। আশঙ্কা ছিলই, সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে সারা রাত ধরে রাফায় ধেয়ে এল ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমান। গোলার আঘাতে প্রাণ গেল পাঁচ শিশু-সহ ১১ জন প্যালেস্টাইনির। এ বার আশঙ্কা স্থল অভিযানের, রাফার বাসিন্দাদের দাবি— খুব দ্রুত হয়তো সেই অভিযানও শুরু করে দেবে ইজ়রায়েল। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবারই গাজ়ার আল শিফা হাসপাতালের সামনে থেকে ৩০টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহগুলি সম্পূর্ণ নগ্ন, হাত বাঁধা। উদ্ধারকারীদের দাবি, এঁরা সকলেই হাসপাতালের কর্মী ও রোগী ছিলেন। ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে এই মানুষগুলোকে।
প্রায় সাড়ে ছ’মাসের সংঘাতে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজ়া ভূখণ্ড। প্রতি দিনই প্রায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। গাজ়া স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ইজ়রায়েলি হানায় প্রাণ গিয়েছে ৭১ জনের। গুরুতর জখম অন্তত ১০৬ জন।
ইজ়রায়েলের পাশাপাশি অভিযোগের আঙুল উঠছে আমেরিকার দিকেও। মিশর, কাতার, সৌদি আরব ইত্যাদি মধ্যস্থতাকারী দেশগুলির দাবি, ইরানের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়ে যাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ বপন না করে ফেলে ইজ়রায়েল তাই আমেরিকা শর্ত দিয়েছে— গাজ়ায় যথেচ্ছাচার চলুক। ইরানের সঙ্গে সংঘাতের প্রয়োজন নেই। যদিও এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেছে আমেরিকা। বরং, এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখন রাফায় হামলা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছে আমেরিকা ও ইজ়রায়েল। আমেরিকার তরফ থেকে রয়েছেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জেক সালিভান, ইজ়রায়েলের তরফে রণকৌশল মন্ত্রী রন ডারমার।
মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের দাবি, ‘যা রটে, তার কিছু তো বটে।’ হামাসের সঙ্গে সংঘাতের শুরু থেকেই ইজ়রায়েল গাজ়াকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মনোভাব নিয়ে এগিয়েছে। প্রচ্ছন্ন মদত দিয়েছে আমেরিকা। উদ্দেশ্য একটাই, প্যালেস্টাইনে যেন আর নতুন প্রজন্ম জন্মাতে না পারে। সে দেশের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়াই এখন নেতানিয়াহুর মূল লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy