Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Serial Killer

খুন করে বস্তায় ভরে ফেলে দিতেন, নিজের স্ত্রীকেও ছাড়েননি, ৪২ মহিলা হত্যায় ধৃত ‘ভ্যাম্পায়ার’!

একের পর এক মহিলার দেহ উদ্ধারে খুনিকে ধরতে বেশ কয়েকটি দল নামায় পুলিশ। এ দিকে মহিলাদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছিল।

(বাঁ দিকে) এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

(বাঁ দিকে) এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ০৯:৩২
Share: Save:

শহরের একের পর এক মহিলা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু দিন পর পরই সেই সব মহিলার দেহ জঞ্জালের কোনও স্তূপ, নির্জন এলাকা বা ফাঁকা মাঠে বস্তার ভিতর থেকে উদ্ধার হতে শুরু করে। সেলোটেপ, নাইলনের দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা সেই বস্তা। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, বস্তার ভিতরে আস্ত দেহ ভরা রয়েছে! শহর থেকে মহিলারা রহস্যজনক ভাবে গায়েব হয়ে যাওয়ায় পুলিশেরও ঘুম উড়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই খুনির নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না।

একের পর এক মহিলার দেহ উদ্ধারে খুনিকে ধরতে বেশ কয়েকটি দল নামায় পুলিশ। এ দিকে মহিলাদের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছিল। তল্লাশি অভিযানের মধ্যেই শহরেরই এক পাথরখাদান থেকে একসঙ্গে ন’জন মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও খুনির নাগাল পাচ্ছিল না তারা। একের পর এক মহিলা নিখোঁজ হতে থাকায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছিল।

শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ল ধারাবাহিক খুনে অভিযুক্ত যুবক। নাম কলিন্স জুমাইসি খালুসা। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘ভ্যাম্পায়ার’ নামে পরিচিত। ঘটনাটি কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির। ২০২২ সাল থেকে তিনি এই কাজ করছেন। গত দু’বছরে ৪২ জন মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, নিজের স্ত্রীকেও ছাড়েননি কলিন্স। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত।

কী ভাবে খুন করতেন ‘ভ্যাম্পায়ার’?

পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাদের সঙ্গে প্রথমে আলাপ জমাতেন। তার পর তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তুলতেন। আর সুযোগ নিয়েই তাঁদের খুন করতেন। দেহ টুকরো করে সেগুলি বস্তায় ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়ে আসতেন। যে সব বস্তা উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি থেকে মহিলাদের দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। এক জন মহিলা ছাড়া কারওরই পুরো দেহ মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। কলিন্সের বাড়ি থেকে প্রচুর বস্তা, নাইলনের দড়ি, সেলোটেপ, মাংস, হাড় টুকরো করার যন্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেরায় কলিন্স স্বীকার করেছেন, মহিলাদের খুনের পর তাঁদের দেহ টুকরো করে বস্তায় ভরে ফেলে দিয়ে আসতেন। কিন্তু কী কারণে মহিলাদের খুন করতেন, সেই রহস্য খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Serial Killer Kenya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE