বাংলাদেশের রাস্তায় নামানো হয়েছে সেনা। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে রবিবার কোটা সংস্কার মামলার শুনানি রয়েছে। মামলাটি শুনছে সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। এর মাঝে দেশ জুড়ে কার্ফুর মেয়াদও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, কার্ফু চলবে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত। শনিবার রাতে নতুন করে ঘোষণা হয়, কার্ফুর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কার্ফু আপাতত রবিবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ নিয়ে হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। সেই আপিলের শুনানি রবিবার হচ্ছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল আগামী ৭ অগস্ট। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং ছাত্রবিক্ষোভের কথা মাথায় রেখে জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শোনার জন্য আদালতে আবেদন জানায় সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বাসভবনে জরুরি ভিত্তিতে আদালত বসেছিল। সেখানে গিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। সেখানেই স্থির হয়, রবিবার সকাল ১০টায় মামলাটির শুনানি হবে।
হাসিনা সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নীতিগত ভাবে সহমত। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও চেয়েছিলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কিন্তু আন্দোলনকারীরা দাবিতে অনড় ছিলেন। রবিবার আদালতেও সরকারের তরফে সংরক্ষণ সংস্কারের পক্ষেই আবেদন জানানো হবে। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম এম আমিন উদ্দিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, তাঁরা হাই কোর্টের রায় বাতিলের জন্য আবেদন করবেন।
তবে অনেকের মতে, রবিবার আদালত সরকারের পক্ষে রায় দিলেও অশান্তি কতটা কমবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ এই আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারের দাবিতে সীমাবদ্ধ নেই। আরও একাধিক দাবি তাতে যুক্ত হয়েছে। সরকারের তরফে ইতিমধ্যে আন্দোলন নিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগা হয়েছে। অভিযোগ, ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন বিরোধী নেতৃত্ব। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থ।
শনিবার পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে শতাধিক মৃত্যু ঘটেছে। এএফপি, রয়টার্সের মতো সংবাদ সংস্থাগুলির তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা অন্তত ১১৫। বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। শুক্রবার রাতে জারি করা হয় কার্ফু। কার্ফুর মাঝে শনিবার ঢাকার রাস্তায় নেমেছিল সেনার ট্যাঙ্ক। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ব্যর্থ হওয়ায় সেনা নামিয়েছে হাসিনা সরকার। তার মাঝে সংরক্ষণ শুনানি চলছে আদালতে। সবার চোখ আপাতত ঢাকার দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy