Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Death Pool

Death Pool: এখানে গেলে কেউ বেঁচে ফেরেন না, ‘মৃত্যু হ্রদ’-এর খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কী ভাবে সমুদ্রের সৃষ্টি হয়েছিল, তা জানতে এই আবিষ্কার অনেকটাই সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন স্যাম।

মৃত্যু হ্রদ।

মৃত্যু হ্রদ।

সংবাদ সংস্থা
মায়ামি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১২:৩২
Share: Save:

এখানে নামলে বা এর কাছাকাছি গেলে কেউ আর জীবিত ফেরেন না। সম্প্রতি এমনই হ্রদের খোঁজ পেলেন মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানী।

লোহিত সাগরের প্রায় ছ’হাজার ফুট গভীরে সম্প্রতি ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই মৃত্যুপুরীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্যাম পুরকিস নামে এক বিজ্ঞানী লাইভ সায়েন্স-এ দাবি করেছেন, নোনাজলের ওই পুলে নামামাত্রই মৃত্যু হতে পারে যে কোনও প্রাণীর। সমুদ্রের নীচে এই ধরনের গভীর এবং অগভীর হ্রদ সৃষ্টি হয়। এগুলিকে ‘ব্রাইন পুল’ বলা হয়। গভীর সমুদ্রের নীচে এই হ্রদের সৃষ্টি হয়।

স্যাম ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, কেন এতটা ঘাতক সেই হ্রদ। ঘাতক এই পুলে লবণের মাত্রা অত্যধিক। এই এলাকার জল সমুদ্রের সাধারণ জলের চেয়ে তিন থেকে আট গুণ বেশি লবণাক্ত। শুধু তাই-ই নয়, ওই জলে অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যের মাত্রাও অনেক। এখানে রয়েছে বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইডের ভান্ডার। ফলে সমুদ্রের জলের থেকে এই হ্রদের জলের ফারাক বিস্তর। তা ছাড়া এই পুলে অক্সিজেনের কোনও অস্তিত্ব নেই। আর তার জেরে মুহূর্তেই মারা পড়তে পারে সামুদ্রিক জীব বা কোনও প্রাণী।

এই হ্রদে বিপুল পরিমাণ জীবাণুদের ঘর। তবে পৃথিবীতে কী ভাবে সমুদ্রের সৃষ্টি হয়েছিল, তা জানতে এই আবিষ্কার অনেকটাই সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন স্যাম। তিনি আরও জানান যে, এই আবিষ্কার জরুরি ছিল। কেননা, এর থেকেই আন্দাজ করা যাবে অন্য কোনও গ্রহে এ রকম পরিস্থিতিতে কোনও প্রাণী বেঁচে আছে কি না।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Pool Red Sea
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy