সলমন রুশদি। ছবি: পিটিআই ।
ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে সলমন রুশদিকে। তাঁর উপর হওয়া হামলার কারণে একটি চোখ হারাতে পারেন বলেও তাঁর এজেন্ট (রুশদির হয়ে যিনি বিভিন্ন সংস্থা বা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন) সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর এজেন্ট আরও জানিয়েছেন, রুশদির হাতের স্নায়ু ছিঁড়ে গিয়েছে এবং যকৃৎ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘‘রুশদির অবস্থা গুরুতর। তিনি সম্ভবত একটি চোখ হারাতে চলেছেন। হামলা চালানোর ফলে তাঁর হাতের স্নায়ু ছিঁড়ে গিয়েছে এবং তার যকৃৎ ছুরির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত।’’
অ্যান্ড্রু আরও জানিয়েছেন যে, রুশদি এখনও কথা বলতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শতকা ইন্সটিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠার সময় হামলা চালানো হয় রুশদির উপর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঞ্চে ওঠার সময় বুকারজয়ী লেখক রুশদির উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন হামলাকারী। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার ছুরির কোপ বসানো হয় লেখকের ঘাড়ে-বুকে-পেটে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এর পর পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের তরফে রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ২৪ বছর বয়সি হামলাকারী হাদি মাতারকেও। আপাতত পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন অভিযুক্ত।
সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট না হলেও, মনে করা হচ্ছে রুশদির লেখা বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর কারণেই হামলা চালানো হয়েছে ৭৫ বছর বয়সি লেখকের উপর। এই বইয়ের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানাও জারি করে ইসলামি কট্টরপন্থী সংগঠন। ওই বইয়ের কারণে নব্বইয়ের দশকে ইটালির মিলানেও রুশদির উপর হামলা চালানো হয়। এমনকি, এই বইয়ের জাপানি অনুবাদক হিতোসি ইগারাসিকেও ছুরি মেরে খুন করা হয় টোকিয়োর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy