আগামী সপ্তাহে কিরঘিজস্তানের বিশকেক-এ এসসিও সম্মেলন যত এগিয়ে আসছে ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথের ঐতিহ্য অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে গুঞ্জন। আজ এক দিকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এসসিও-র পার্শ্ববৈঠকে নরেন্দ্র মোদী এবং ইমরান খানের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্য দিকে বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পরে আজ প্রথম প্রকাশ্য মঞ্চের বক্তৃতায় এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানের নাম না করে বিঁধেছেন। তাঁর দাবি, প্রতিবেশী নীতির প্রশ্নে বিমস্টেকভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কারণ সার্ক-এর কিছু ‘সমস্যা’ রয়েছে। জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘বিমস্টেক-এর উপর আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। এই ধরনের কোনও মঞ্চকে সঠিক ভাবে কাজে লাগালে তবেই এগোনো সম্ভব। আমরা সবাই জানি সার্ক-এর কিছু সমস্যা রয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে সরিয়ে সংযোগ, পরিকাঠামো, বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’’
কূটনীতিকদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও বহুপাক্ষিক মঞ্চে ভারতের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলে এই ধরণের সংলাপ অনিবার্য। তবে এর পরেও কোনও অপ্রত্যাশিত চমক থাকতে পারে। এটা ঘটনা যে ভোটের প্রচারে যে ভাবে এবং ভঙ্গিতে পাকিস্তান-বিরোধিতাকেই প্রধান অস্ত্র করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী তাতে শপথ নেওয়ার পক্ষকাল পরেই ইমরানের সঙ্গে মুখোমুখি বসে ‘চায়ে পে চর্চা’ করা তাঁর পক্ষে রাজনৈতিক ভাবে স্বস্তিদায়ক নয়। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্যেও সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। মুখপাত্র রভিশ কুমারের কথায়, ‘‘কিরঘিজস্তানে ভারত এবং পাকিস্তানের
মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা নয়।’’ লস্কর নেতা হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘হাফিজ সইদ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এর আগে পাকিস্তান যে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সেগুলি সবই স্বল্পমেয়াদী। কিছু দিন পরেই ফের সইদ ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেছে।
দেখতে হবে পাকিস্তান কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ করছে।’’
তবে এটাও ঘটনা যে পাকিস্তানের সঙ্গে সামগ্রিক আলোচনা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু না করলেও, ট্র্যাক টু-এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার ইঙ্গিত
মিলেছে গত দু’সপ্তাহে। সম্প্রতি কিরঘিজস্তানে এসসিও বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে গিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে একই সোফায় বসে কথা বলেছিলেন তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সম্প্রতি ইমরানের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মোদীর। গত কাল দিল্লির জামা মসদিজে ইদের প্রার্থনায় যোগ দিতে এসেছেন পাকিস্তানের বিদেশসচিব সোহেল মেহমুদ।
কূটনীতিকদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে এখনই ঢাক পিটিয়ে সর্বোচ্চ স্তরে কথা শুরু করা হবে না। কিন্তু আলোচনার ভিত তৈরির কাজটি কিরঘিজস্তান থেকেই শুরু হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy