ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। ছবি: পিটিআই
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে তৈরি হওয়া অশোধিত তেল সঙ্কট নিয়ে কথা বলল ভারত এবং জার্মানি। আজ হায়দরাবাদ হাউসে এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জার্মানির বিদেশমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি ভারতীয় ছাত্রছাত্রী এবং পেশাদারদের জার্মানি যাওয়ার পথ সুগম করতে আজ দুই দেশ একটি চুক্তিতে সইও করেছে।
সূত্রের খবর, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মোদী সরকারের নেওয়া যথেষ্ট কড়া অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই আজ কথা বলেছেন জয়শঙ্কর। বৈঠকের পর তা স্পষ্ট। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “রাশিয়ার তেল নিয়ে ভারতের বাধ্যবাধকতার দিকটি জার্মানি বুঝেছে। কিন্তু আমি আশা করব ইউরোপের প্রচারমাধ্যমও তা বুঝবে।” এর পরই তাঁর মন্তব্য, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়া থেকে যে পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি করে, তা দশটি দেশের আমদানির তুলনায় বেশি।” প্রসঙ্গত এই জয়শঙ্করই একবার বলেছিলেন, “ইউরোপ একটি বিকেলে যত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত তা করে গোটা মাসে।”
রাশিয়াকে আর্থিক ভাবে কোণঠাসা করে যুদ্ধ বন্ধ করার কৌশলে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলি সে দেশ থেকে তেল আমদানিতে বড় রকমের নিষেধাজ্ঞা আনছে। ভারতও যাতে এই কৌশলে যোগ দেয়, সে জন্য চলছে দফায় দফায় কূটনৈতিক দৌত্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারতের অবস্থান, শক্তিক্ষেত্রে জাতীয় চাহিদাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত সস্তায় ভারত অশোধিত তেল কিনছে মস্কো থেকে। জয়শঙ্করের কথায়, “শক্তির উৎস যখন সীমাবদ্ধ, তখন ইউরোপ এক রকম ভাবে চলবে আর ভারতকে অন্য রকম উপদেশ দেবে, এটা হতে পারে না।”
রাশিয়া পরিস্থিতির পাশাপাশি দুই মন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি তথা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও। বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, “পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিয়ে যথেষ্ট বিস্তারিত কথা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। পাকিস্তানকে আমরা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে সংযুক্ত করি, কিন্তু সন্ত্রাস চললে কথা এগোনো যায় না। জার্মানি বিষয়টি বুঝেছে।” চিন প্রসঙ্গে সরব হয়ে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, “গোটা অঞ্চলই দেখেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে চিন কী ভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা নতুন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতি তৈরি করছি, সেখানে চিনের ভূমিকাকে নতুন করে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy