‘লুনা-২৫’ ভেঙে পড়ায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম মহাকাশযান নামানোর নজির গড়া আর হয়নি রাশিয়ার। বাজি জিতে গিয়েছে ভারত। তবে ভারতকে অভিনন্দনে ভরিয়ে দিতে কোনও কার্পণ্য করলেন না ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় পুতিন লিখেছেন, ‘‘আমার আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। মহাকাশ অভিযানে এ এক বিরাট পদক্ষেপ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির নিদর্শন।’’
ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে হিন্দিতে লিখেছেন, ‘বধাই হো, ভারত’। আবার এ দেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি জানিয়েছেন, মহাকাশ অভিযানে ভারত-আমেরিকা জোটের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘একে বলে অবতরণ!’ ব্রিটেনের ইউকে স্পেস এজেন্সি সরাসরিই বলেছে, ‘ইতিহাস তৈরি হল।’ বিক্রম যখন চাঁদে নামছিল, তখন তার গতিবিধির উপরে সতর্ক নজর রাখার কাজে ইসরোকে সাহায্য করছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। বিক্রম চাঁদ ছুঁতেই ইসরোকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে দু’মহাদেশের দুই সংস্থা।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, ‘‘চাঁদে মহাকাশযান সফ্ট-ল্যান্ড করানো চতুর্থ দেশ হওয়ার জন্য অভিনন্দন ভারতকে। এই অভিযানে আপনাদের সঙ্গী হতে পেরে আমরা আনন্দিত!’’ ইএসএ-র ডিরেক্টর জেনারেল জোসেফ অ্যাশবাখারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ইসরো, চন্দ্রযান-৩ এবং ভারতের সমস্ত মানুষকে অভিনন্দন। পৃথিবীর বাইরের মাটিতে ভারতের প্রথম সফ্ট ল্যান্ডিংয়ে কী দারুণ ভাবে তুলে ধরা হল নতুন প্রযুক্তিকে। আমি যারপরনাই মুগ্ধ।’’ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে প্রকৃত পথপ্রদর্শক হয়ে উঠল ভারত।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)