ইউক্রেন সীমান্তে ল্যান্ডমাইন ফেটে মৃত্যু রুশ সাংবাদিকের, দেড় বছর ধরে সংগ্রহ করছিলেন যুদ্ধের খবর

ইউক্রেন সীমান্তে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল আরও এক রুশ সাংবাদিকের। অ্যানা প্রোকোফিভা নামে ওই মহিলা ২০২৩ সাল থেকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করে আসছিলেন। রাশিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন ফেটে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন তাঁর চিত্র সাংবাদিকও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, রাশিয়ার বেলগোরোডে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণটি হয়েছে।

৩৫ বছর বয়সি অ্যানা রুশ সরকার নিয়ন্ত্রিত এক সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। মস্কোর সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, খবর সংগ্রহ করার সময়ে একটি ল্যান্ডমাইনে পা পড়ে যায় তাঁদের। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অ্যানার। তাঁর সহকর্মী দিমিত্রি ভলকভের শরীরের একাধিক জায়গা পুড়ে গিয়েছে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছেন তিনি। রুশ সেনার সাঁজোয়া গাড়ির সঙ্গে মাঝেমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করতেন অ্যানা। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন আগ্রাসনের ভাবনার সমর্থক ছিলেন তিনি।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বেলগারোড অঞ্চলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঝেমধ্যেই রকেট এবং ড্রোন হামলা হয়েছে এই এলাকায়। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে গোলাবর্ষণের ফলে অতীতে সাধারণ নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে। এ বার যুদ্ধের খবর সংগ্রহে গিয়ে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক সাংবাদিকের। চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের লুহান্‌স্কে রুশ-অধিকৃত এলাকায় গোলাবর্ষণে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যেও দু’জন রুশ সাংবাদিক ছিলেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ২০২২ সালে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরির পর থেকে প্রায় ২০ জন সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।