তালিবান সরকারের সূচনা অনুষ্ঠানে থাকবে না রাশিয়া
আফগানিস্তানে তালিবানি সরকারের সূচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না রাশিয়া। ‘ব্রিকস’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকের পর নয়াদিল্লির স্বস্তি বাড়িয়ে শুক্রবার ‘ক্রেমলিন’-এর তরফে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। কয়েক দিন আগেই রুশ সংবাদ সংস্থা ‘আরআইএ’ সূত্রে খবর ছিল, নতুন তালিবানি সরকারের উদযাপন অনুষ্ঠানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের আধিকারিকদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। ব্রিকসের বৈঠকের পরই রাশিয়ার সিদ্ধান্ত বদল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।
গত সোমবার তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জবিরুল্লা মুজাহিদ জানিয়েছিলেন, নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতের নাম ছিল না ওই তালিকায়। উল্লেখ্য, তালিবান বাহিনী কাবুল দখল নেওয়ার পরও আফগানিস্তানে দূতাবাস খোলা রেখেছে পাকিস্তান, চিন ও রাশিয়া। বেজিং,ইসলামাবাদের মতো তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল মস্কোও। যা নিয়ে বেশ চাপেই ছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু গত সোমবারই ভারত সফরে এসে রাশিয়ার প্রতিনিধি নিকোলায় কুদাশেভ বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মসনদে তালিবানকে মান্যতা দেওয়া নিয়ে এখনও ভাবনা চিন্তা করছে না মস্কো। যুদ্ধদীর্ণ দেশটির পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
বৃহস্পতিবার ব্রিকসের বৈঠকে সাউথ ব্লকের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, আফগানিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য তৈরি করা। তাতে সফলই হয়েছে ভারত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বলেছেন, ‘‘আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করার পর আফগানিস্তানে নতুন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে কী ভাবে প্রভাবিত করবে, স্পষ্ট নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy