বাইডেন এবং পুতিন। ফাইল চিত্র।
পাওনার পরিমাণ ৯ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকারও (প্রায় ১২,০০০ কোটি ডলার)-ও বেশি। কিন্তু আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার জেরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ওই অর্থ আপাতত রাশিয়া থেকে আদায় করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এমনকি, রাশিয়ার মাটিতে থাকা তাদের বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
ঞগত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ঘোষণার পরে ধাপে ধাপে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক বিধিনিষেধ জারি শুরু করেছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশও। সরকারি স্তরের পাশাপাশি ওই দেশগুলির নানা বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও মস্কোর সঙ্গে ব্যবসায়ীর যোগাযোগে ইতি টানতে শুরু করেছে।
আমেরিকার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাক্স বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পথে হেঁটে তারা রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। আমেরিকার এবং পশ্চিমী দেশগুলির বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও একটি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ সরকার এবং সে দেশের বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থার থেকে গোল্ডম্যান স্যাক্সের প্রাপ্য ১০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৭৬,২০০ কোটি টাকা)।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি রাশিয়া থেকে পাওনা ৯ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে বিপাকে পড়বে। আমেরিকা ছাড়াও ইতালি, ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এই তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy