পুতিন এবং জেলেনস্কি।
বেলারুশ সীমান্তে দ্বিতীয় দফার শান্তি বৈঠকের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার বসতে চাইলেন ইউক্রনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধ বন্ধ করার এক মাত্র পথ, আমার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখোমুখি আলোচনা।’’ তবে জেলেনস্কির ওই প্রস্তাবের বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি ক্রেমলিন।
বৃহস্পতিবারের প্রতিনিধি স্তরের বৈঠকে দু’দেশই যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে আটকে পড়া অসামরিক মানুষদের উদ্ধারের পথ করে দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার দাবিও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার জবাব মেলেনি। বৈঠকের পরে দুই দেশের তরফেই মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তৃতীয় দফার বৈঠক বসবে। সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি ধরেই বৈঠক এগোচ্ছে।
The second round of negotiations is over. Unfortunately, the results Ukraine needs are not yet achieved. There is a solution only for the organization of humanitarian corridors... pic.twitter.com/0vS72cwYSX
— Михайло Подоляк (@Podolyak_M) March 3, 2022
বৈঠক শেষের পর জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলক তাঁর সরকারি টুইটারে হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ইউক্রেনের প্রয়োজনীয় ফলাফল এখনও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। শুধুমাত্র অসামরিক জনগণকে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে একটি সমাধানসূত্রের সন্ধান মিলেছে।’
বৃহস্পতিবার বেলারুশ সীমান্তে শান্তি বৈঠকের মধ্যেও কিভ, খারকিভ, ওডেসা, মারিউপোল-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। প্রসঙ্গত, রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কিভ-সহ কয়েকটি শহরের নাগরিকদের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy