ইউক্রেন সফরে গিয়ে পুতিনকে নিশানা করলেন বাইডেন। ছবি: রয়টার্স।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘বড় ভুল’। সোমবার কিভে ঝটিকা সফরে গিয়ে এই দাবি করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘পুতিনের যুদ্ধ পরিকল্পনায় বিস্তর গলদ রয়েছে।’’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরে রুশ সেনার হামলা ঠেকাতে ৫০ কোটি ডলারের (প্রায় ৪,১৩৩ কোটি টাকা) অতিরিক্ত সামরিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেন বাইডেন।
তবে আকাশপথে রুশ হামলা ঠেকাতে কিভের তরফে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চাওয়া হলেও তা দেওয়া হবে কি না, সোমবার স্পষ্ট জানাননি বাইডেন। চতুর্থ প্রজন্মের এফ-১৬ বা সমগোত্রীয় ফাইটার জেট পেলে যুদ্ধের মোড় পুরোপুরি ঘুরে যাবে বলে কিছু দিন আগেই জানিয়েছিল জ়েলনস্কি সরকার। প্রসঙ্গত, এর আগে ইউক্রেনের আবেদনের সাড়া দিয়ে আমেরিকা প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং আধুনিক ‘স্ট্রাইকার’ সাঁজোয়া গাড়ি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে বাখমুট-সহ ইউক্রেনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর ঘিরে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। মূলত ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করতেই ভ্লাদিমির পুতিনের সেনার এই সক্রিয়তা বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি। এই পরিস্থিতিতে জ়েলেনস্কির আবেদনে সাড়া দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য গত সপ্তাহে বৈঠকে করে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য দেশগুলি।
বেলজিয়ামে ওই বৈঠকের পরে এর পর নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ জানিয়েছিলেন, রুশ হামলা ব্যর্থ করার জন্য ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্য হয়েছেন। এই আবহে বাইডেনের ইউক্রেন সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেনের মাটি থেকে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারেন বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের দাবি। অন্য দিকে, যুদ্ধের বর্ষপূতি ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে মস্কোও। চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন। সেখানে আমেরিকার বার্তা উপেক্ষা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামনে ওয়াং দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy