ফাইল চিত্র।
আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলোর পাঠানো অস্ত্র আর যা-ই হোক রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ থামাতে পারবে না। বরং যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালছে তারা। আর সেই আঁচে পুড়ছে ইউক্রেন। এমনই মন্তব্য করল মস্কো। তাদের দাবি, ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। প্রতিপক্ষের উদ্দেশে ইউক্রেনের বার্তা, তারা ফের সেভেরোডনেৎস্ক শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা, অন্তত ২০ শতাংশ জমি রুশদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।
ডনবাস অঞ্চলে এখন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেভেরোডনেৎস্কের। মারিয়ুপোলের মতো এটিও কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর। রাশিয়ার থেকে এটিকে বাঁচাতে প্রাণপণে লড়ছে ইউক্রেন। এবং একই রণকৌশলে মারিয়ুপোলের মতো এটিকেও গুঁড়িয়ে, মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছে রুশ বাহিনী। দীর্ঘদিন ধরেই এই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল মস্কো। একটু একটু করে গিলে ফেলছিল শহরটাকে। সম্প্রতি লুহানস্কের গভর্নর সেরি হাইডাই জানিয়েছিলেন, শহরের ৭০ শতাংশ রাশিয়ার হাতে চলে গিয়েছে। কিন্তু আজ তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ২০ শতাংশ জমি রুশ দখলদারদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। হাইডাই বলেন, ‘‘আমাদের হাতে যত ক্ষণ পশ্চিমের পাঠানো দূরপাল্লার যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে, তত ক্ষণ আমরা ওদের এগোতে দেব না। আমার বিশ্বাস, যা অস্ত্র রয়েছে, ওরা এক সময় পালাতে বাধ্য হবে।’’
পূর্ব ডনবাসের অন্যত্রও আকাশপথে রুশ হামলা বাড়ছে। একের পর এক সেতু উড়িয়ে দিচ্ছে তারা। কৃষ্ণসাগরে আজ ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি পণ্যবাহী বিমান গুলি করে নামিয়েছে রাশিয়া। ডনেৎস্কে আজ একটি গির্জায় গোলা বর্ষণ করে মুস্কোর বাহিনী। কাঠের তৈরি গির্জায় দ্রত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ইউক্রেনের অর্থোডক্স গির্জা কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘‘ধর্মস্থানের মূল গম্বুজটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।’’ এক ইউক্রেনীয় সেনাকর্তা ফেসবুকে আগুনের একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘ফের এক জঘন্য অপরাধ। ওদের কাছে পবিত্র বলেও কিছু নেই।’’
কয়েকশো বছরে পুরনো ওই গির্জা গত শতকে কমিউনিস্ট-শাসনে বন্ধ পড়ে ছিল। ১৯৯২ সালে সোভিয়েত পতনের পরে এটি ফের খুলে দেওয়া হয়। এ দিনের ঘটনাতে রাশিয়া যথারীতি কিভের কাঁধেই দায় চাপিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy