আমেরিকা ও তার পশ্চিমী মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার উপর একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। এর ফলে চাপের মুখে পড়ছে পুতিনের দেশের অর্থনীতি। লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। সংসার চালাতে বেহাল রাশিয়ার আম জনতা। যুদ্ধ বিরোধিতার স্লোগান দিয়ে রাজপথে নেমে গ্রেফতার হচ্ছেন বহু মানুষ।
লুভিভ বিমানবন্দর এলাকা থেকে কালো ধোঁয়ায় কুণ্ডলি ছবি— রয়টার্স।
পশ্চিম ইউক্রেনেও শুরু হয়ে গেল রুশ হামলা। শুক্রবার ভারতীয় সময় সকাল এগারোটা নাগাদ (ইউক্রেনের সময় সকাল সাড়ে ৭টা) লুভিভের বিমানবন্দর এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। তাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরের পাশে থাকা বিমান মেরামতির কারখানা। বহুদূর থেকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে আকাশে কালো ধোঁয়া। বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। অকুস্থলের দিকে ছুটছে অ্যাম্বুল্যান্স, দমকল। লুভিভের মেয়র আন্দ্রিয়ে সাদোভি জানিয়েছেন, হামলা হয়েছে বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকায়। রানওয়ে এখনও সুরক্ষিত আছে।
পশ্চিম ইউক্রেনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর লুভিভ। পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে একশো কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের এই শহর দিয়েই মূলত ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে ঢুকছেন ইউক্রেনীয়রা। তাই শহরের একমাত্র বিমানবন্দর এই যুদ্ধ আবহেও অতিমাত্রায় সচল। এ বার তাকেই নিশানা করল রাশিয়া। ইউক্রেনীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘ইউক্রেন ২৪’-কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পর পর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হানার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিমানবন্দর লাগোয়া বিমান মেরামতির কারখানা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যাচ্ছে। তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরের মেয়র। কর্মীরা অক্ষত আছেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার তেজ ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে। রুশ নিশানায় চলে এসেছে কার্যত গোটা দেশ। যুদ্ধ শুরুর প্রথম দু’সপ্তাহ পর্যন্তও পশ্চিম ইউক্রেন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ হিসেবে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই পশ্চিমেও শুরু হয়ে গিয়েছে রাশিয়ার মুহুর্মুহু হামলা।
এ দিকে আমেরিকা ও তার পশ্চিমী মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার উপর একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। এর ফলে চাপের মুখে পড়ছে পুতিনের দেশের অর্থনীতি। লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। সংসার চালাতে বেহাল রাশিয়ার আম জনতা। যুদ্ধ বিরোধিতার স্লোগান তুলে রাশিয়ার রাজপথে নামছেন বহু মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই রাশিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবুও যুদ্ধেই অনড় পুতিন। সব মিলিয়ে সঙ্কট ক্রমেই বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy