ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের আশঙ্কা সত্যি করে অবশেষে লিসিচানস্ক শহর দখল করল রাশিয়া। তার ফলে পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক প্রদেশে শেষ ঘাঁটি হারাল ইউক্রেন সেনা।
লিসিচানস্ক জয়কে বড়সড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। এর ফলে নিকটবর্তী ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্ক শহর জয়ের দিকে তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ‘সাফল্যের’ পরেও তারা যে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। একটি রুশ টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে ‘পূর্ব পরিকল্পনা মতো’ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
যদিও লিসিচানস্ক দখলের ‘কৃতিত্ব’ মোটেই রাশিয়াকে দিতে রাজি নয় ইউক্রেন। লুহানস্কের ইউক্রেনীয় গভর্নর সের্গেই গাইডাই এক সাক্ষাৎকারে জানান, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হার মানেনি ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে লিসিচানস্কের পতন ঘটতে চলেছে এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল কিভ। জওয়ানদের নিরাপত্তার খাতিরে রুশ বাহিনী শহরটিকে ঘিরে ফেলার আগে জওয়ানদের সরে যেতে বলা হয়। যার ফলে রাশিয়ার জয়ের পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘এ বার ডনেৎস্ক প্রদেশের দিকে নিষ্কণ্টক ভাবে জয়লাভের পথে এগোবে রাশিয়া। সম্ভবত ক্রামাতোরস্ক ও স্লোভিয়ানস্ক আর সংলগ্ন বাখমুট শহরে প্রবল হামলা চালাবে তারা।’’ গাইডাই বলেন, ‘‘লুহানস্ক হারানোর বিষয়টি ইউক্রেনের পক্ষে মেনে নেওয়া কষ্টকর। তবে লিসিচানস্ক হারানো মানে তো যুদ্ধে হেরে যাওয়া নয়। এটা একটা অংশ মাত্র। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি।’’
এ দিকে, যুদ্ধদীর্ণ ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য আজ সুইৎজারল্যান্ডে অন্তত এক ডজন দেশ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি বৈঠকে বসবে। শক্তিশালী রাশিয়ার মোকাবিলা করতে পশ্চিমি দেশগুলির কাছে আরও অস্ত্রসাহায্য চাইবে কিভ।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy