ফাইল চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ভারত, এমনই মনে করছে মেক্সিকো। আর সেই কারণেই তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে একটি বিশেষ কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে। যাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে কমিটিতে পোপ ফ্রান্সিস এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসকেও চায় তারা।
সম্প্রতি উজ়বেকিস্তানের সমরখন্দে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিএ) সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বলেন, ‘‘আজকের যুগ যুদ্ধের নয়।’’ সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকা-ইউরোপ ভারতের প্রশংসায় মুখর হয়। গত সাত মাস ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাংশ। কিন্তু একবারের জন্য বন্ধু রাশিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি ভারত। এই প্রথম তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করল, তা-ও সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্টকেই যুদ্ধ থামানোর কথা বলা হল। এর পরেই ভারতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাবটি তোলেন মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী মার্সেলো লুই এবরার্ড কাসাউবোন। তিনি বলেন, ‘‘এ বার শান্তির লক্ষ্যে জোরদার পদক্ষেপ করা উচিত আন্তর্জাতিক সংগঠনের। সেই প্রসঙ্গেই মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ় ওবরাডরের হয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করছি। শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করুন গুতেরেস। এতে রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের প্রস্তাব, এই কমিটিতেনরেন্দ্র মোদী ও পোপ ফ্রান্সিসও উপস্থিত থাকুন।’’
এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মতামত এখনও জানা যায়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার দখল করা অংশগুলিতে ক্রেমলিন যে গণভোটের কথা বলছে, তা নিয়ে আজও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গুতেরেস। আজ, অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই গণভোট হওয়ার কথা। রাশিয়ার বক্তব্য, ভোটাভুটির মাধ্যমে স্থির হবে, অংশগুলি রাশিয়ার অন্তর্গত হতে চায় কি না। কিন্তু গুতেরেস আজ স্পষ্ট জানিয়েছেন, অন্য দেশে ঢুকে সেখানে বলপূর্বক নির্বাচন করা হলে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা হবে। মস্কো অবশ্য তাতে পাত্তা দিতে রাজি নয়। শোনা যাচ্ছে, ভোট হচ্ছে চার জায়গায়— লুহানস্ক, খেরসন, জ়াপোরিজিয়ার রুশ নিয়ন্ত্রিত অংশ এবং ডনেৎস্ক অঞ্চলে। ক্রেমলিনের আশা, খুব শিঘ্রই অঞ্চলগুলি রাশিয়ায় যোগ দেবে। সে ক্ষেত্রে ভোটে জিতলেই রাশিয়ার সংবিধান বলবৎ হবে এই জায়গাগুলিতে। ক্রেমলিনের বক্তব্য, এর পর যদি ইউক্রেন এই অঞ্চলগুলিকে পুনর্দখল করার চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে তা ‘আক্রমণ’ হিসেবে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy