গত সপ্তাহে লুহানস্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর লিসিচানস্ক দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। ফাইল ছবি
রুশ হামলা ‘আপাতত বন্ধ’। যদিও সেটা মস্কোর দাবি। অভিযোগ, তেমন খবর ছড়ানো হলেও যেন তেন প্রকারে পূর্ব ইউক্রেনকে নরকে পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে রাশিয়া। পরিস্থিতি এমনই, কিভের তরফে ডনবাসের বাসিন্দাদের বলা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব রুশ-অধিকৃত অঞ্চল থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে।
ইউক্রেন জানিয়েছে, দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে ভয়াবহ গোলাবর্ষণ চলছে। লুহানস্কের গভর্নর সেরি হাইডাই জানিয়েছেন, এক রাতে রাশিয়া ২০টি আর্টিলারি, মর্টার, রকেট হামলা চালিয়েছে। তারা ক্রমশ পড়শি ডনেৎস্কের দিকে এগোচ্ছে।গত সপ্তাহে লুহানস্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর লিসিচানস্ক দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। মাঝে যে সময়টা তারা হামলা বন্ধের কথা বলছে, তা হয়তো নতুন করে অস্ত্র মজুত করার সময় নেওয়া হচ্ছে। হাইডাই বলেন, ‘‘শত্রুদের তরফে এখনও পর্যন্ত হামলা বন্ধের ঘোষণা করা হয়নি। ওরা এখনও গোলাবর্ষণ করছে, আক্রমণ করছে।’’
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক দেশবাসীকে আবেদন জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে আসুন। সরকারের আতঙ্ক, ওই অঞ্চলে আটকে থাকা বাসিন্দাদের ‘মানব-বর্ম’ হিসেবে ব্যবহার করবে রুশ সেনা। সে ক্ষেত্রে ইউক্রেনের পক্ষে লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়বে। ইরিনা বলেন, ‘‘আপনাদেরই পথ খুঁজতে হবে, কারণ আমাদের বাহিনী ও দিকে এগোচ্ছে। সামনে বড় যুদ্ধ। কাউকে ভয় দেখাচ্ছি না। সবাই জানেন ও বোঝেন সবটাই। যুদ্ধ শুরু হলে সাধারণ মানুষকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করবে রাশিয়া।’’ খেরসন ও জ়াপুরিজ়িয়ায় উদ্ধার কাজ চলছে। বাকি উদ্ধার কাজে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিশদে কিছু বলেননি ইরিনা। এ দিকে, মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। শুক্রবার ডনেৎস্কের সেমিহিরা ও সিভেরস্কে রুশ হামলায় পাঁচ জন খুন হয়েছেন, আট জন জখম। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাশিয়ার পরবর্তী নিশানা স্লোভিয়ানস্ক শহর। আজ সকালে ভয়াবহ গোলাবর্ষণ করা হয় এই শহরে। দক্ষিণের শহর ক্রিভি রি-তে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রে দু’জন নিহত হয়েছেন। জখম তিন। বেছে বেছে লোকালয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আজ দাবি করেছে, প্রায় হারিয়ে যাওয়া বা বিলুপ্ত হতে বসা অস্ত্রসামগ্রী ব্যবহার করছে রাশিয়া। এগুলির যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। যেমন এমটি-এলবি নামে একটি সশস্ত্র যুদ্ধযান নতুন করে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৫০-এর দশকে এটি ব্যবহার করা হতো। ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে ব্যবহার করা বেশ কিছু ট্যাঙ্কও তারা নতুন করে যুদ্ধের ময়দানে নামিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy