Russia-Ukraine Conflict: America's nuke-resistant 'doomsday plane' in trial flight dgtl
Russia-Ukraine Conflict
Doomsday Plane: পরমাণু বোমাতেও কোনও ক্ষতি হবে না! ‘ডুমস্ডে প্লেন’-এর পরীক্ষামূলক উড়ান আমেরিকার
পেন্টাগন জানিয়েছে, আমেরিকার বিমানবাহিনীর ওই পরমাণু অস্ত্ররোধী বিমানটি গত সোমবার পরীক্ষামূলক ভাবে ওড়ানো হয় নেব্রাস্কায় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২২ ১৩:২৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
এক পা এগিয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা পা না বাড়িয়ে থাকতে পারে?
০২১২
ইউক্রেন আক্রমণের এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের পরমাণু অস্ত্রদলকে তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
০৩১২
এর পর আর দেরি না করে পারমাণবিক অস্ত্ররোধী বিমানের প্রথম পরীক্ষা উড়ান সেরে ফেলল আমেরিকা। যেন পরোক্ষে মস্কোকে বুঝিয়ে দেওয়া হল সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের জন্য তৈরিই আছে আমেরিকা!
পেন্টাগন জানিয়েছে, আমেরিকার বিমানবাহিনীর ওই পরমাণু অস্ত্ররোধী বিমানটি গত সোমবার পরীক্ষামূলক ভাবে ওড়ানো হয় নেব্রাস্কায় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে। সাড়ে চার ঘণ্টার উড়ানে বিমানটিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শিকাগোয়।
০৬১২
বিমানটিকে আকাশে ওড়ানোর আগে ওড়ানো হয় কয়েকটি জেট বিমান। যাতে কোনও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এসে বিমানটিকে আচমকা আঘাত না করে তার উপর নজর রাখতে।
০৭১২
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বোয়িং-৭৪৭ মডেলের বিমানকেই পরমাণু অস্ত্ররোধী ব্যবস্থা দিয়ে সাজিয়ে তুলে এই বিমানটি বানানো হয়েছে। যার নাম— ‘বোয়িং-ই৪বি’। এর একটি ডাকনামও রয়েছে। ‘শেষের সে দিনের বিমান (ডুমস্ডে প্লেন)’।
০৮১২
গত শতাব্দীর সাতের দশকে আমেরিকার বিমানবাহিনীর যে নাইটওয়াচ বিমানবহর ছিল পরমাণু অস্ত্ররোধী এই বিমানটি তারই অংশ বলে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে।
০৯১২
পরমাণু যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখার শীর্ষস্তরের কর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা ও তাঁদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ বাধাহীন ভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমেরিকা এই বিমানটি বানিয়েছে।
১০১২
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিমানটিতে কোনও ডিজিটাল ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে ডিজিটালের আগের যুগের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যাতে পরমাণু বোমার আঘাতে বা পরমাণু বিস্ফোরণের ফলে তৈরি হওয়া তীব্র শক্তিশালী কম্পাঙ্কের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গে এই বিমানটি অচল, নিষ্ক্রিয় না হয়ে পড়ে।
১১১২
কোনও জানলা নেই বিমানটির। চালক, সহকারী চালক ছাড়া যাত্রীরাও থাকতে পারেন এই বিমানে। পরমাণু বোমার ফলে যে প্রচণ্ড পরিমাণে তাপশক্তি তৈরি হয় তাতে যাতে ঝলসে না যায় বিমানটি তার জন্য তিনটি স্তরের রক্ষা-আবরণী রয়েছে বিমানের বাইরে।
১২১২
বিমানটির মাথার বিভিন্ন অংশে ৬৫টিরও বেশি স্যাটেলাইট ডিশ ও অ্যান্টেনা রয়েছে। যাতে বিমানটি আকাশ থেকে পৃথিবীর সবক’টি দেশের যে কোনও প্রান্তে থাকা জাহাজ, সাবমেরিন, যাত্রী ও যুদ্ধবিমান এবং সব ল্যান্ডলাইন টেলিফোনে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে।