মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স।
কথা ছিল শুক্রবার গণভোট হবে। তাই হয়েছে। ইউক্রেনে দখল করা চারটি এলাকায় গণভোট করছে রাশিয়া। তাদের কথায়, সাধারণ বাসিন্দারা স্থির করবেন, তাঁরা রাশিয়ায় যাবেন কি না। যদিও মস্কোর ভোটাভুটিতে বিশ্বাস নেই রাষ্ট্রপুঞ্জ বা আমেরিকা-ইউরোপ কারও। তা ছাড়া, মস্কো ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে, তাদের বিশ্বাস ভোটের ফল তাদের পক্ষে যাবে। সে ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ওই সব অঞ্চল রাশিয়ার হয়ে যাবে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২০১৪ সালে, ক্রাইমিয়ায়।
কূটনীতিক বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়ায় এমনই একটি গণভোট করেছিল রাশিয়া। তারা জানিয়েছিল, ৯৬.৭ শতাংশ ভোট ক্রেমলিনের সমর্থনে পড়েছে। যদিও রাশিয়ার মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি গোপন রিপোর্ট ফাঁস হতে জানা যায়, মাত্র ৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পেরেছিলেন। তার মধ্যে খুব বেশি হলে অর্ধেক মানুষ রাশিয়াকে সমর্থন করেছিলেন।
ক্রাইমিয়ায় কোনও রক্তপাত হয়নি। কোনও গুলি চলেনি। সেই পরিস্থিতিতে ভোট হয়েছিল। কিন্তু এখন, এই যুদ্ধের মাঝেই গণভোট আয়োজন করেছে রাশিয়া! নির্বাচন হচ্ছে চারটি অঞ্চলে, লুহানস্ক, খেরসন, জ়াপোরিজিয়ার রুশ নিয়ন্ত্রিত অংশ এবং ডনেৎস্ক অঞ্চলে। খেরসনে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া কোনও মতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঠেকিয়ে রেখেছে। এ রকম অবস্থায়, কারা ভোট দিতে আসবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিরাপদ ভাবে নির্বাচন হওয়া অসম্ভব। অথচ রাশিয়া দাবি করছে, সাড়ে ৭ লক্ষ মানুষ নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছে। তাঁদের ইচ্ছে, মিকোলেভও রুশ নিয়ন্ত্রণে যাক। মস্কো এ-ও জানিয়েছে, ভোটের ফল বেরোলেই রুশ সংবিধান বলবৎ হয়ে যাবে এই সব অঞ্চলে। তখন যদি ইউক্রেন হামলা করে, তাকে অন্যের জমিতে আক্রমণ হিসেবে দেখা হবে!
যে চারটি অঞ্চলে ভোট হচ্ছে, তারও সবটা রাশিয়ার হাতে নেই। যেমন জ়াপোরজিয়ার রাজধানীই ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডনেৎস্কের পূর্ব দিকে ৬০ শতাংশ রাশিয়ার দখলে। লুহানস্কের বেশির ভাগটাই রাশিয়ার হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। যদিও রুশ সংবাদ সংস্থাগুলি দেখাচ্ছে, এই সব অঞ্চলে বড় বড় ফ্লায়ার। তাতে লেখা, ‘‘রাশিয়াই ভবিষ্যৎ।’’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি গোটা বিশ্বের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই ভোটকে যেন কোনও ভাবেই মান্যতা দেওয়া না হয়। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘ওই নির্বাচন ভুয়ো। ইউক্রেনের জমি ইউক্রেনেরই, আর কোনও কিছুকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।’’
অন্য দিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশের সাধারণ মানুষের একাংশকে যুদ্ধে পাঠানোর কথা ঘোষণা করার পরেই দেশ জুড়ে যুদ্ধ-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কড়া হাতে তা দমন করছে প্রশাসন। আজও প্রায় ৭৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বেশ কয়েক জন শিশুও রয়েছে বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy