একনায়কেরা আর যাই হোক এত দুর্বল হতে পারেন না! রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভিডিয়ো টুইটারে দিয়ে লিখেছিলেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক পর্যবেক্ষক। সেই ভিডিয়ো এখন গোটা বিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রে।
আলোচনার কারণ পুতিনের স্বাস্থ্য। ভিডিয়োটিতে পুতিনকে দেখে অসুস্থ মনে হয়েছে। যাঁরা সেটি দেখেছেন তাঁদের অনেকের এ-কথাও মনে হয়ছে যে, পুতিন স্নায়ুর রোগ পারকিনসন্সে আক্রান্ত।
এ-রোগে রোগীর হাত কাঁপে। এতটাই তীব্র হতে পারে সেই কাঁপুনি যে, হাতে কোনও জিনিস ধরা থাকলে সেটি হাত থেকে পড়েও যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে পেন ধরে লেখার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন রোগী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পর্ব যখন তুঙ্গে, পুতিনের একটি সই যখন বদলে দিতে পারে রাশিয়া বা ইউক্রেনের ভাগ্য, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এসেছে খবরটি।
dictators can be brutal
— ian bremmer (@ianbremmer) April 22, 2022
they can be capricious
but they can’t be weak
serious problem for putin pic.twitter.com/OGFejK09i9
শেয়ার করা ভিডিয়োয় বহুবার পুতিনের হাত কাঁপতে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি রুশ প্রেসিডেন্টের একটি বৈঠকের। যেখানে ছোট্ট টেবিলে তাঁর মুখোমুখি বসে রয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্জান্দার লুকাসেঙ্কো। মোট ১২ মিনিটের বৈঠকে পুতিনকে দেখা গিয়েছে টেবলের একটি কোনায় একটানা হাতের উপর ভর দিয়ে বসে থাকতে। সাধারণ ভাবে কোনও ব্যক্তি টেবিলের তলায় ওই ভাবে হাত রাখেন না। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছে পুতিন কি তাঁর হাতটিকে আড়াল করতে চাইছিলেন?
ওই বৈঠকেরই আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। তাতেও একটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে, পুতিনের হাত কাঁপতে শুরু করতেই তিনি তার হাতটিকে বুকের কাছে জড়ো করে নেন।
ভিডিয়োটির শুরুতে পুতিনের মুখ দেখেও তাঁকে অসুস্থ মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, পুতিনের মুখ অস্বাভাবিক রকমের ফুলে রয়েছে, যা সুস্থতার লক্ষণ নয়।
হোয়াইট হাউস অবশ্য পুতিনের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।