—ফাইল চিত্র।
তাঁর সঙ্গে ব্রিটেনের প্রয়াত ব্রিটিশ যুবরানির অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। সেই এলটন জন এ বার ডায়ানাকে নিয়ে একটি মজাদার তথ্য সামনে আনলেন। জানালেন, একটা সময়ে ডায়ানাকে পাওয়ার জন্য কার্যত মুষ্টিযুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন হলিউডের দুই জনপ্রিয় নায়ক। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন রিচার্ড গ্যের এবং অপর জনের নাম সিলভেস্টার স্ট্যালোন।
ব্রিটিশ সুরকার-গীতিকার-গায়ক
এলটন সম্প্রতি একটি আত্মজীবনীমূলক বই লিখেছেন। নাম ‘মি’। সেই বই নিয়েই একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে সম্প্রতি নিবন্ধ লিখেছেন এলটন। ডায়ানা সম্পর্কে নানা কথা লিখতে গিয়ে সেখানে উঠে এসেছে গ্যের এবং স্ট্যালোনের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গটিও।
১৯৯২ সালে ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ডায়ানার। ঘটনাটি তার দু’বছর পরের। ‘লায়ন কিং’ ছবিতে তখন সুরকার হিসেবে কাজ করেছিলেন এলটন। সেই উপলক্ষে ডিজ়নির তৎকালীন কর্তা জেফ্রি কাটজ়েনবার্গ স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকা থেকে লন্ডনে এসেছিলেন। নিজের বাড়িতে একটি পার্টির আয়োজন করেন এলটন। এবং তিনি জেফ্রিকে সেই সময় জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাঁরা ব্রিটেনের কোনও তারকার সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করতে চান কি না। জেফ্রি এবং তাঁর স্ত্রী প্রথমেই ডায়ানার নাম করেন। সেই মতো ওই পার্টিতে বন্ধু ডায়ানাকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন এলটন। সেই সঙ্গেই গ্যের এবং স্ট্যালোনের মতো আরও কিছু তারকা ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন।
এলটন লিখেছেন, ‘‘পার্টি শুরুর পর থেকেই বিষয়টা আমার নজরে পড়েছিল। ফায়ার প্লেসের এক ধারে বসে গল্প জুড়েছিল ডায়ানা আর গ্যের। দু’বছর আগে ডায়ানার বিচ্ছেদ হয়েছে। আর সিনডি ক্রফোর্ডের সঙ্গে তখন সম্পর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে গ্যেরেরও। তাই ওই দু’জনের মধ্যে চটজলদি ঘনিয়ে ওঠা বন্ধুত্বটা আমার নজর এড়ায়নি। পার্টির সকলের থেকে যেন ওরা আলাদা হয়ে নিবিড় ভাবে কথা বলছিল। একটা সময়ে টেবিলে সব খাবার পরিবেশন করা হয়ে যায়। খেয়াল করি ঘরে নিমন্ত্রিতদের মধ্যে গ্যের আর স্ট্যালোন নেই। আমার প্রেমিক (এখন স্বামী) ডেভিডকে বলি ওদের খুঁজে আনতে।’’ এর পর ওই দু’জনকে কোথা থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, তার বিবরণও দিয়েছেন এলটন। লিখেছেন, ‘‘ডেভিড করিডরে খোঁজাখুঁজি করে কিছু ক্ষণ পরে ওদের নিয়ে আসে। তার পর আমায় কার্যত ফিসফিস করে জানায় ডায়ানাকে নিয়ে এত ক্ষণ তর্ক হচ্ছিল ওদের। তার জন্য মুষ্টিযুদ্ধ করতেও পিছপা হয়নি ওই দু’জন। ডেভিড অবশ্য ওদের জানায়নি যে ও পুরো বিষয়টা জেনে ফেলেছে। ও শুধু ‘খাবার তৈরি হয়েছে’ বলে দু’জনকে ডেকে নিয়ে এসেছিল। কোনও ক্রমে খাওয়া শেষ করে ফের ফায়ার প্লেসের ধারে গিয়ে বসে ডায়ানা আর গ্যের। নিবিড় হয়ে গল্প করতে শুরু করে আগের মতো। তাতে রাগে ফেটে পড়ে স্ট্যালোন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই
আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। আর যাওয়ার আগে গ্যেরের উদ্দেশে ব্যঙ্গ করে বলে যায়, ‘ওই প্রিন্স চার্মিং এখানে থাকবে জানলে আমি আসতাম না।’ তার পরেই গাড়িতে উঠে পড়ে স্ট্যালোন। আর ও চলে যাওয়ার পরে ডেভিড আর আমি হাসতে হাসতে পড়ে যাচ্ছিলাম প্রায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে ডায়ানা ছিল নির্বিকার। হয় ও এ সবের কিছুই জানত না, না হলে এই ধরনের জিনিসে ও এতটাই অভ্যস্ত ছিল যে, ওর কিছুই মনে হয়নি।’’
ওই পার্টির কিছু দিন আগেই একঅনুষ্ঠানে ডায়ানার সঙ্গে পরিচয় হয়স্ট্যালোনের। প্রাক্তন যুবরানির রূপেতখন থেকেই তিনি মুগ্ধ। অনেকেই বলেন, এলটনের পার্টিতে যেতে স্ট্যালোন সঙ্গে সঙ্গে রাজি হন, কারণ তিনি ভেবেছিলেন এলটনের বাড়িতে ডায়ানাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াটা সহজ হবে। তাই ডায়ানার পাশে সে দিন গ্যেরের ঘনিষ্ঠ উপস্থিতি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি তিনি।
ওই নিবন্ধে ডায়ানার সঙ্গে বন্ধুত্বের চিড় ধরার কথাও লিখেছেন এলটন। সব ভুল বোঝাবুঝি দূরে সরিয়ে এক ইটালীয় ডিজ়াইনারের মৃত্যু তাঁদের ফের কাছাকাছি এনে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে দুর্ঘটনায় প্রিয়বন্ধুর মৃত্যুর পরে সেই এলটনই নতুন করে বানিয়েছিলেন ‘ক্যান্ডল ইন দ্য উইন্ড’ গানটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy