Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ভেঙে পড়া ইন্দোনেশিয়ার বিমানের খোঁজে নামল উদ্ধারকারী দল

ভোরের আলো ফুটতেই ভেঙে পড়া ট্রিগানা এয়ারের ৪২-৩০০ টার্বোপ্রপের খোঁজে সোমবার রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী দল। একটি অনুসন্ধানকারী বিমান এ দিন অক্সিবিল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করে।

ভেঙে পড়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী দল। ছবি: এএফপি।

ভেঙে পড়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী দল। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৫ ১২:২০
Share: Save:

ভোরের আলো ফুটতেই ভেঙে পড়া ট্রিগানা এয়ারের ৪২-৩০০ টার্বোপ্রপের খোঁজে সোমবার রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী দল। একটি অনুসন্ধানকারী বিমান এ দিন অক্সিবিল থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করে। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীদের মধ্যে কেউ বেঁচে আছেন কি না সে বিষয়ে সরকারি তরফে কিছু জানানো হয়নি। রবিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পাপুয়ার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ দফতরের মুখপাত্র জুলিয়াস বারাতা। ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি-র প্রধান সোয়েলিস্তো জানান, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল বিমানে এবং হাঁটা পথে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে।

এ দিন সকালেই অক্সিবিলের অদূরে এক গ্রামের বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন, পাহাড়ে বেঙে পড়ার আগে একটি বিমানকে খুব নীচু দিয়ে উড়তে দেখেছেন তাঁরা। তবে এখনই গ্রামবাসীদের কথায় বিশ্বাস করতে রাজি নয় অনুসন্ধানকারী দল। তারা জানিয়েছে, এটি ট্রিগানা এয়ার ৪২-৩০০ টার্বোপ্রপের ধ্বংসাবশেষ কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিমান কর্তপক্ষের তরফে যাত্রীদের সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা না হলেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর বিমানের অধিকাংশ যাত্রী ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার।

রবিবার পাপুয়ার রাজধানী জয়পুরা থেকে ৫৪ জন যাত্রী নিয়ে অক্সিবিল যাচ্ছিল এই টার্বোপ্রপ বিমানটি। অক্সিবিলে নামার নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই নিখোঁজ হয়ে যায় বিমানটি। তার পর থেকে কোনও যাগাযোগই করা যায়নি বিমানটির সঙ্গে। এমনকী পাইলট কোনও বিপদ সঙ্কেতও পাঠায়নি বলে দাবি ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণ মন্ত্রকের।

বিমানটি জয়পুরা থেকে ওড়ার পরই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়ে। পর্বত ও অরণ্যে ঘেরা পাপুয়ার বেশর ভাগ জায়গাই দুর্গম। এর আগেও বেশ কিছু বিমান ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তাদের কোনও ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি দুর্গম পাহাড়ি পথের জন্য। এক বিমান বিশেষজ্ঞ দুদি সুদিবিয়ো বলেন, “দুর্গম পাহাড় আর ঘন ঘন পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কারণে পাপুয়ায় বিমান চালানো খুব মুশকিল। যে পাইলট পাপুয়াতে বিমান চালাতে পারবে, তিনি বিশ্বের যে কোনও জায়গায় বিমান চালাতে পারবেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

Rescuers battled mountainous site crashed plane
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE