নিকি হেলি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য রিপাবলিকান পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিকি হেলি। এর ফলে আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যান্ট প্রার্থী তথা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লসটনে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (ভারতীয় সময় গভীর রাত) তাঁর সমর্থকদের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করবেন রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকার প্রাক্তন দূত নিকি। প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামী থেকে ফ্লরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, সকলেই একে একে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। রয়ে গিয়েছিলেন শুধু আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি।
মঙ্গলবার আমেরিকার ‘সুপার টিউইসডে’তে ১৫টি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ‘প্রাইমারি’ ভোটাভুটিতে সাফল্য পেয়েছেন ট্রাম্প। ১৩টি রাজ্যের রিপাবলিকান ককাসের জনমত তাঁর পক্ষে গিয়েছে। ওই ফলাফলের জেরে নিকির সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান, এই দু’টি দলের অভ্যন্তরে নির্বাচন হয়। ভোটাভুটির মাধ্যমে দেখা হয়, কোন প্রার্থী দলের ভোটারদের বেশি পছন্দের। শেষ পর্যন্ত সেই প্রার্থীকেই দল প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে।
নিকি সরে দাঁড়ানোয় আগামী নভেম্বের ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার পথ উজ্জ্বল হল বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জনমত সমীক্ষা করে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকস জানিয়েছিল, নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের চেয়ে দু’পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। যদিও ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিংসার মামলায় অভিযুক্ত ট্রাম্পের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথে বিচারবিভাগ অন্তরায় হবে কি না, তা নিয়ে এখনও সংশয় পুরোপুরি কাটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy