গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
কাশ্মীর ইস্যুতে এ বার পাকিস্তানের রোষে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘গুডউইল অ্যাম্বাসাডর’ বা ‘শুভেচ্ছা দূত’-এর এর তালিকা থেকে প্রিয়ঙ্কার নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে সংস্থাকে চিঠি লিখলেন পাক মানবাধিকার মন্ত্রী শিরিন মাজারি। বলিউড তারকা ভারত সরকারের অবস্থান এবং পরমাণু যুদ্ধের পক্ষে— এমনই সব অভিযোগ তুলে এই সুপারিশ করেছেন তিনি। তবে এ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ, নয়াদিল্লি বা প্রিয়ঙ্কার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিটা ফোরেকে লেখা চিঠিতে মাজারি বলেছেন, প্রিয়ঙ্কার ‘‘ওঁর যুদ্ধপ্রীতি এবং কাশ্মীর নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন এবং রাষ্ট্রপুঞুজের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা, এবং পরমাণু যুদ্ধের পক্ষে কথা বলা রাষ্ট্রপুঞ্জে তাঁর পদকে (গুডউইল অ্যাম্বাসাডর) অবমাননা করে। অবিলম্বে তাঁকে সরানো না হলে সারা বিশ্বে ‘শুভেচ্ছা দূত’ পদের ধারনাটাই হাস্যকর পর্যায়ে নেমে যাবে।’’
ঘটনার সূত্রপাত কিছু দিন আগে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে থাকা এক মার্কিন প্রবাসী পাকিস্তানি তরুণী আয়েশা মালিকের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের প্রশংসা করে ওই সময় একটি টুইট করেন প্রিয়ঙ্কা। সেই টুইটের প্রসঙ্গ টেনে প্রিয়ঙ্কাকে ‘হিপোক্রিট’ বলে আক্রমণ করেন আয়েশা। আয়েশা বলেন, ‘‘আপনার মুখে শান্তির কথা শুনতে খুব কষ্ট হয়। আপনি গুডউইল অ্যাম্বাসাডর ফর পিস। কিন্তু আপনার প্রতিবেশী দেশের নাগরিক হিসেবে আমি জানি, সেই আপনিই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধকে সমর্থন করেন।’’ কার্যত সেই সূরেই রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠি পাক মানবাধিকার মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: ২৭ ঘণ্টা পরে প্রকাশ্যে চিদম্বরম, কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন, ‘কোনও দোষ করিনি’
আরও পডু়ন: নাটকীয় মোড় জাগুয়ার-কাণ্ডে, আরসালান নন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর দাদা! দাবি পুলিশের
জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়ে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে মায়াকান্না কাঁদতে শুরু করেছে। ভারতের বিরুদ্ধে এবং নিজেদের পক্ষে বিশ্বের প্রায় সব দেশের জনমত গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও ‘বন্ধু’ চিন ছাড়া কাউকেই কার্যত পাশে পায়নি ইমরান খানের সরকার। রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছেও বেশ কিছু দাবিদাওয়া জানিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই তালিকায় এ বার নয়া সংযোজন প্রিয়ঙ্কার গুডউইল অ্যাম্বাসাডর বাতিলের আর্জি।
প্রিয়ঙ্কা প্রথম বার ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসাডর নির্বাচিত হন ২০১০ এবং ২০১৬ সালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy