ফাইল চিত্র।
কোভিডের টিকাকরণ হয়ে গেলেও এখন মাস্ক পরা বন্ধ করা যাবে না। বিশেষজ্ঞেরা বারবারই এ কথা বলছেন। যদিও কিছু ধনী দেশের সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ও সবের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু টিকার সৌজন্যে পাওয়া যে অ্যান্টিবডি-র জোরে মাস্ক থেকে মুক্তির কথা বলছে বিভিন্ন দেশ, সেই অ্যান্টিবডি আদৌ থাকবে তো? থাকলে কত দিন? এর কোনও স্পষ্ট জবাব নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। বরং এমন কিছু নিদর্শন মিলেছে, যাতে দেখা গিয়েছে টিকাকরণের কয়েক মাস পরেই শরীর থেকে উধাও রক্ষাকবচ!
নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সি মার্ক ফিল্ডস ফাইজ়ারের দু’টি ডোজ় নিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁর চিকিৎসক কিছু রুটিন টেস্ট করাতে দেন। সঙ্গে অ্যান্টিবডি টেস্টও। পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে হতভম্ব চিকিৎসক। অ্যান্টিবডি নেই বললেই চলে। ফিল্ডস জানেন না, তা হলে কি তাঁকে আবার বুস্টার ডোজ় নিতে হবে? নাকি টেস্টের রিপোর্ট ভুল এসেছে!
প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি)-র ডিরেক্টর রশেল ওয়ালেনস্কি-র কাছে ই-মেল করেছিলেন ফিল্ডস। এখনও পর্যন্ত কোনও জবাব পাননি তিনি।
টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি গোড়া থেকেই জানাচ্ছে, কোভিড রুখতে কার্যকরী তাদের ভ্যাকসিন। কিন্তু ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা নেই। তবে টিকা নেওয়া থাকলে করোনা-আক্রান্তের বাড়াবাড়ি হবে না। সাধারণ মানুষ যদিও নিশ্চয়তার খোঁজে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মাস্ক পরাই নিরাপদ। বিশেষ করে যে ভাবে মিউটেশন ঘটাচ্ছে ভাইরাস, তাতে মাস্ক খোলা বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিন্তু সে কথা শুনছে কে! ইউরোপ-আমেরিকার দেখাদেখি আজ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারো জানিয়েছেন, দু’টো ডোজ় নেওয়া হয়ে গেলে আর মাস্কের দরকার নেই। তিনি অবশ্য কোনও দিনই মাস্ক পরার পক্ষপাতী নন।
আমেরিকার টিকা নিয়ন্ত্রক সংস্থার বক্তব্য, প্রতিষেধকের কার্যকারিতা বুঝতে অ্যান্টিবডি টেস্ট করানো ভুল। তাদের মতে, অ্যান্টিবডি কমে যাওয়া মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা চলে যাওয়া নয়। কিন্তু কিছু স্বাস্থ্য সংস্থা এর উল্টো কথাই বলেছে এত দিন। ফলে বিতর্ক, ধোঁয়াশা— কিছুই কাটছে না। টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরে মানুষ কত দিন নিরাপদ, তা স্পষ্ট করে না-জানানো পর্যন্ত, ধোঁয়াশা কাটবে না বলে মত এক দল বিশেষজ্ঞের।
ও দিকে ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে, যাঁদের ‘ব্লাড ভেসেল ডিসঅর্ডার’ বা রক্তনালিতে সমস্যা আছে, তাঁদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার টিকা দেওয়া উচিত নয়। আজ বিবৃতি দিয়ে ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, তাঁরা ছ’টি ঘটনা খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্তে এসেছে। টিকা নেওয়ার পরে ওই ছ’জনের ক্যাপিলারি লিক সিন্ড্রোম দেখা দিয়েছে। ইএমএ-র দাবি, এ বার এই সিন্ড্রোমটিকেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে যোগ করা হোক। ‘ক্যাপিলারি লিক সিন্ড্রোম’ একটি বিরল সমস্যা। এতে হঠাৎই রক্তচাপ কমে গিয়ে ক্যাপিলারি থেকে তরল নিঃসৃত হতে থাকে।
ইএমএ জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন টিকার সামান্যতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নথিভুক্ত করছে। যেমন ফাইজ়ারের টিকা নেওয়ায় অল্প সংখ্যকের হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy