সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন চাপেই একঘরে হয়েছে কাতার। কিন্তু আরব দুনিয়ায় আমেরিকার অন্যতম ঘাঁটি এই দেশটিকে যে ওয়াশিংটন পুরোপুরি ব্রাত্য করতে চায় না তার প্রমাণ মিলল আজ।
মার্কিন চাপেই যে সৌদি আরব-সহ ৭টি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু আজ কাতারি প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী খালিদ আল-আতিয়ারের সঙ্গে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য ১২০০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জন ম্যাটিস। সেই চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি টুইটারে প্রকাশ করে ওয়াশিংটনে কাতারি দূত মেশাল হামাদ আল-ঠানি বলেছেন, ‘‘মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলি যে আমাদের সঙ্গেই রয়েছে এটা তার প্রমাণ। তবে এ নিয়ে আমাদের সন্দেহ ছিল না। দু’দেশের সেনার সম্পর্ক দু’ভাইয়ের মতো। কাতারের প্রতি মার্কিন সমর্থনের শিকড় অনেক গভীর। রাজনৈতিক পরিবর্তনে তা চট করে টলে যাবে না।’’ কাতার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মোট ৩৬টি যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা। পাশাপাশি দু’টি মার্কিন যুদ্ধজাহাজও কাতারের বন্দরে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন নৌসেনা। কাতারের ঘাঁটিতে ১০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।
পশ্চিম এশিয়ার সঙ্কট কাটাতে কূটনৈতিক দৌত্যেও আরও গতি আনছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। আজ কাতারে পৌঁছন তুরস্কের দুই মন্ত্রী। এর পরে সৌদি আরবে যাবেন তাঁরা। গোড়া থেকেই সঙ্কট মেটাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্দোগান। সম্প্রতি কাতারে সেনাও পাঠিয়েছে তুরস্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy