চট্টগ্রামের চেরাগি মোড়ে বিক্ষোভ। সোমবার। ছবি: বাচ্চু বড়ুয়া
মৌলবাদী দুষ্কৃতীদের একের পর এক হামলার ঘটনায় প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ। এ দিন রাজধানী ঢাকার শাহবাগের মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। নানা সংগঠনের সদস্যরা পরে সেই অবস্থানে এসে যোগ দেন। কয়েক বছর আগে মৌলবাদীরা বাংলাদেশ জুড়ে হামলা শুরু করার পরে এই শাহবাগের মোড়েই অবস্থান শুরু করেছিলেন লেখক ও ব্লগাররা। সমাজের সব অংশের মানুষের উপস্থিতিতে পরে সেই আন্দোলন ঐতিহাসিক মাত্রা পেয়েছিল। ঢাকা ছাড়া এ দিন দ্বিতীয় বড় শহর চট্টগ্রামে চেরাগির মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সংস্কৃতিকর্মীরা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আলাদা আলাদা ভাবে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। ২৩ তারিখে দেশ জুড়ে অবস্থান ও অনশনের ডাক দিয়েছেন ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান এক্য পরিষদ’-এর সভাপতি রানা দাশগুপ্ত। বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সেই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে।
মৌলবাদীদের সন্ত্রাস প্রতিরোধে কাল সারা দেশে সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রার ডাক দিয়েছে শাসক দল আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশের সব জেলা ও উপজেলায় এই কর্মসূচি পালিত হবে। সকালে দলের দফতরের সামনে কর্মসূচির সূচনায় থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতারা। সোমবার সন্ধ্যায় দলের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন। সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়দুল কাদের হাজির ছিলেন সভায়।
প্রতিবাদের বাংলাদেশেও হামলা অব্যাহত রেখেছে মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে দু’টি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা করে তারা। বাসিন্দারা প্রাণ বাঁচাতে মাঠে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা রাস্তা আটকে দমকলের গাড়িও ঢুকতে দেয়নি। ঘণ্টা দেড়েকের হামলার নিশানা ছিল মৎস্যজীবী কিছু গরিব পরিবার। পরে পুলিশ এসে দুষ্কৃতীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পরে বাসিন্দারা ঘরে ফিরে দেখেন, কার্যত কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
রংপুর থেকেই ভোটে জিতেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে এই হামলার পরে অনেকেই বলছেন, মৌলবাদীরা এ বার সরাসরি তাঁকেই চ্যালেঞ্জ জানাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অবশ্য দাবি করেছেন, পীরগঞ্জের চক্রান্তকারীদের পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। ইতিমধ্যেই ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘরপোড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। তবে এক সপ্তাহ ধরে একের পর এক ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। হামলার মোকাবিলা করে সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো। একই সঙ্গে, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আর্জিও তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy