দামাস্কাস টাইম ছবির একটি দৃশ্য। ছবি সৌজন্য ইউটিউব।
একটা শপিং মলকে ঘিরে রেখেছে এক দল সশস্ত্র আইএস জঙ্গি। প্রত্যেকের হাতেই স্বয়ংক্রিয় বন্দুক, রকেট লঞ্চার। এক জন জঙ্গি আবার ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে এসেছে।
শপিং মলের ভিতরেতখন কেনকাটায় ব্যস্ত লোকজন। হঠাত্ই জঙ্গিরা তরোয়াল, বন্দুক উঁচিয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিত্কার করতে করতে শপিং মলের ভিতরে ঢুকে পড়ে। জঙ্গি হামলা হয়েছে ভেবে মলের ভিতরে তখন ধুন্ধুমার কাণ্ড। লোকজন ছোটাছুটি করতে শুরু করে দেন। গত সোমবার রাতে তেহরানের এক শপিং মলের দৃশ্যপটটা ঠিক এ রকমই ছিল।
দৃশ্যপটই বটে! না, কোন জঙ্গি হামলা-টামলা নয়, ওটা ছিল একটি ইরানি ছবির প্রোমোশন। ছবির নাম ‘দামাস্কাস টাইম’। ছবির গল্পটা বাবা-ছেলে এবং ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের নিয়ে। ইরানের এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন ত্রাণসামগ্রী পৌঁছতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে আইএস জঙ্গিদের খপ্পরে পড়েন তাঁরা। বাবা-ছেলেকে অপহরণ করে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: নবজন্ম হল, বললেন পাকিস্তানের প্রথম রূপান্তরকামী সংবাদপাঠক
আরও পড়ুন: ৯২ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড গড়লেন মহাথির
সেই ছবিরই প্রোমোশনের জন্য তেহরানের একটি শপিং মলকে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক এব্রাহিম হাতামিকিয়া। একটা নাটকীয় ভঙ্গিমায় প্রোমোশনটা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা যে সিরিয়াস বিষয় হয়ে দাঁড়াবে, ভাবতেই পারেননি বলে জানান হাতামিকিয়া। ইরানের সোশ্যাল মিডিয়াতেও পরিচালকের এমন কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা হয়। নিজের এই কাজের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন হাতামিকিয়া।
শপিং মলে থাকা কিছু লোক যদিও বিষয়টা ঠিক কী সেটা ধরে ফেলেছিলেন। তাঁদের ছবি তুলতেও দেখা যায়, কিন্তু সেই সংখ্যাটা ছিল খুবই কম। বেশির ভাগ লোকই ভেবেছিলেন সত্যিই জঙ্গি হামলা হয়েছে মলে!
গত বছরের জুনে তেহরানের পার্লামেন্টে আইএস জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। তাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়, আহতের সংখ্যাও কম ছিল না।
হাতামিকিয়া ইরানের অন্যতম সেরা পরিচালক। ‘দামাস্কাস টাইম’ ছবিটা সরকারের প্রশংসাও কুড়িয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু এই ছবির শুরুর অভিজ্ঞতাটাই ভাল হল না পরিচালকের!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy